আজ ২১ জানুয়ারী কেশবপুরের সাবেক সংসদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাকের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে কেশবপুরের আওয়ামী লীগের দুপক্ষের পৃথক পৃথক স্থানে সভাকে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেকের সহধর্মিনী ২০১৪ সালে কেশবপুর থেকে র্নিবাচিত হয়ে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতি মন্ত্রী হিসাবে দ্বায়ীত্ব পালন করেন। পরে ২০১৮ সালেও তিনি কেশবপুর থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। গত ২০২০সালের ২১ জানুয়ারী ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইসমাত আরা সাদেক জীবিত থাকা কালেই কেশবপুরের আওয়ামীলীগ তৃ ধারায় বিভাক্ত হয়ে যায়। সেই সুযোগে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন চাকলাদার কেশবপুর থেকে এমপি নির্বচিত হয়ে বিরোধকে আরও বাড়িয়ে দেন।এত দিন নিরব থাকলেও কিছুদিন পূর্বে জেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি বিরোধি ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক খন্দকার আব্দুল আজিজ নির্বচিত হয়ে এ বিরোধ প্রকাশ্য রুপ নেয়।
সাদেক পরিবারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত খন্দকার আজিজ আহবায়ক হয়ে প্রতি মন্ত্রীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় সাদেক অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আহবার করে হল বুকিং দিলেও শেষ সময়ে হল কতৃপক্ষ এমপির দোহায় দিয়ে হল বুকিং বাতিল করলে সাদেক পন্থিরা স্থানীয় ডাকবাংলোতে স্থান ঘোষনা করে কেশবপুর শহরে প্রচারনা চালান। অপার দিকে উপজেল আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় সাদেক অডিটোরিয়মে একই সময়ে স্থানীয় এমপি শাহিন চাকলাদারকে প্রধান অতিথি ঘোষনা করে কেশবপুর শহরে প্রচারনা মাইক ব্যবহার করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দু পক্ষের পাল্টা পাল্টি অবস্থানের কারনে কেশবপুর শহরে সাধারন মানুয়ের মধে কৌতুহল ও আতংক বিরাজ করছে। কেশবপুরের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ফেসবুক যুদ্ধ এ উত্তেজনা আরো বহুগুনে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুর পর তাকে তার পিতা মাতার কবরের পাশে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দাফন করা হয়। এবং এ এস এইচ কে সাদেক সাহেব কে ঢাকায় দাফন করা হলেও কেশবপুরে আওয়ামলিীগে গ্রুপিং সক্রিয় রয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন