যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা সম্পূর্ণ আলাদা, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র না পাচ্ছে ততক্ষণ ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না সউদি আরব। এমনটিই জানিয়েছেন সউদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদ। -দ্য নিউ আরব
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) জেরুজালেমে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান। ওই বৈঠকে সউদি আরবের সঙ্গে সাধারণ সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাও চান তিনি। এরপরই এমন মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান আল সউদ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে তিনি বলেছেন, ‘স্বাভাবিক সম্পর্ক এবং সত্যিকারের স্থিতিশীলতা আসবে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র দেওয়ার মাধ্যমে।’
বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক সউদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটি। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে সৌদির প্রতিবেশী আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এছাড়া মরক্কো ও সুদানও ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে।
যেটিকে আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ‘বেঈমানী’ হিসেবে দেখে। তবে সৌদি সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না রাখলেও দেশটির সঙ্গে বিভিন্নভাবে কাজ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইসরায়েলের অ্যাথলেটদের আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এদিকে গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমকে নিয়ে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেন ফিলিস্তিনিরা। তবে যত দিন যাচ্ছে বিষয়টি জটিল হচ্ছে। কারণ, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহায়তায় পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে ইহুদিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন