শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি : চাঁদ দেখা ক‌মি‌টি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:০৭ পিএম | আপডেট : ৭:৪০ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

দেশের আকা‌শে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এতে করে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে। এই হিসা‌বে ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাদ মাগ‌রিব বায়তুল মোকারর‌মে ইসলা‌মিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনু‌ষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা ক‌মি‌টির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান। প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের ফেসবুক পেজে ১৯ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ উদযাপিত হবে বলে জানায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তারা তারিখ পরিবর্তন করে ১৮ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে উদযাপিত হওয়ার কথা জানায়।

 

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি, ৯ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গে‌ছে।

এজন্য মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৬ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে। রজব হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস।এ মাস আসে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে। তাই এই রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ মাসের বড় বৈশিষ্ট্য হলো- এ মাস আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের (আশহুরে হুরুমের) একটি।

এ মাসের একটি রাত শবে মেরাজ। ইসলামে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ (ফরজ) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়। রাসুল (সা.) রজব মাসকে খুবই গুরুত্ব দিতেন। ফলে রজবের চাঁদ দেখা গেলেই তিনি কিছু বিশেষ আমল শুরু করতেন। হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো, নবী করিম (সা.) তখন এ দোয়াটি পড়তেন—

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়াবাল্লিগনা রমাদান। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন (আলমুজামুল আওসাত, হাদিস : ৩৯৩৯)

পবিত্র হাদিস শরিফে রজবের প্রথম রাতে দোয়া কবুল হওয়ার সুসংবাদ এসেছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন আছে, যেগুলোতে বান্দার দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না, অর্থাৎ অবশ্যই কবুল করেন। রাতগুলো হলো—জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন