বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেলপথ যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে

মো. শরিফুল আলম | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী গণপরিবহণ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভিলক্ষ্য-২০৩০ অর্জনসহ ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের ধারাবাহিক সহযোগিতায় রেলওয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। ৩০ বছর মেয়াদী ‘রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান’ সরকারের অনুমোদিত ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি ও নির্বাচনি ইশতেহার, ২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করণের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলপথ বিভাগকে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ে উন্নীত করা হয়েছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য অধিক অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত ৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

নিরাপদ ও তুলনামূলক কম খরচে পরিবহণ সেবা প্রদানে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করছে। এছাড়া তুলনামূলক পরিবেশ দূষণ, স্বল্প জ্বালানি খরচ ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি কম হওয়ার সুবাদে রেলওয়ে অধিক জনপ্রিয় পরিবহণ মাধ্যম। বাংলাদেশের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় জনসাধারণের যাতায়াত আরো সহজ হচ্ছে এবং পরিবহণ ব্যয় বহুলাংশে হ্রাস পাচ্ছে, ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণ ঘটছে এবং দারিদ্র্য হ্রাসসহ আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। কালের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় প্রশাসনিক সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমান ব্যাপক উন্নয়ন পর্যায়ে এসেছে। রেলওয়ে দেশের বর্তমান পরিবহণ চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ খাতে উন্নয়নের অনে সুযোগ রয়েছে। সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলওয়ে দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বা মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। ইতোমধ্যে নতুন রেললাইন নির্মাণ, পুরাতন রেললাইন পুনর্বাসন, মিটারগেজ লাইন ডুয়েলগেজে রূপান্তর, লোকোমোটিভ, যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী ওয়াগন সংগ্রহ ও পুনর্বাসন, সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নুতন ট্রেন সার্ভিস চালুসহ বেশ কিছু সাফল্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে অধিকতর জনবান্ধব হিসেবে প্রতিভাত করেছে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনসহ ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের ধারাবাহিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে সারা দেশে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা ৩৯৪টি। আন্তঃনগর ট্রেন ১০৪টি, মেইল এক্সপ্রেস এবং কমিউটার ট্রেন ১৪০টি, লোকাল ট্রেন ১০৮টি। মিটারগেজ এসি কোচ ১৩০টি, নন এসি কোচ ১০৭৩ টি মোট ১২০৩ টি। ব্রডগেজ এসি কোচ ৮৬ টি , নন এসি কোচ ৩৮২টি মোট ৪৬৮টি এবং সর্বমোট কোচের সংখ্যা ১৬৭১টি। আন্তঃদেশীয় ট্রেন (মৈত্রী, বন্ধন ও মিতালী এক্সপ্রেস, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী) ৪টি এবং সর্বমোট স্টেশন ৪৮৩টি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-জয়দেবপুর, ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর, আখাউড়া-কুমিল্লা, লাকসাম-কুমিল্লা-চাঁদপুর, লাকসাম-কুমিল্লা-নোয়াখালী, সিলেট-আখাউড়া, পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও, পার্বতীপুর-লালমনিরহাট এবং চট্টগ্রাম-কুমিল্লা কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এতে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জনবহুল শহরগুলোতে যানজট অনেকাংশে লাঘব হয়েছে। এছাড়া ‘ঢাকা শহরের চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্পটি সমাপ্ত হয়েছে। বিনিয়োগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঢাকা শহরের চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ করা হলে যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ দ্রুত ও সহজীকরণ ও উক্ত অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে চায়নার অর্থায়নে পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ এবং জাইকার অর্থায়নে ২য় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিনটি নতুন জেলা যথা- মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও নড়াইল জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে এবং এ অঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকার যাতায়াতের সময় ২-৪ ঘন্টা পর্যন্ত কমে আসবে। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং জিডিপি প্রায় ১ শতাংশ বাড়বে বলে এক সমীক্ষায় ওঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আরো অধিক সংখ্যক যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন অধিক গতিতে চালানো সম্ভব হবে। এতে দেশের উওরাঞ্চলের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণের কাজ চলমান আছে এবং এ প্রকল্প সমাপ্ত হলে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কক্সবাজার জেলার সাথে ঢাকা হতে সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হবে এবং কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়া খুলনা-মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী ৩য় ও ৪র্থ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ চলমান আছে। খুলনা হতে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৬৪ দশমিক ৭৫ কি.মি. ব্রডগেজ সিঙ্গেল রেললাইন নতুন নির্মিত হবে। এতে দেশের অন্যতম প্রধান সমুদ্র বন্দর মংলার সাথে সরাসরি রেলসংযোগ স্থাপিত হবে এবং বাগেরহাট জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়াও বগুড়া থেকে শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশন ভায়া সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, খুলনা-দর্শনা সেকশন ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প এবং পার্বতীপুর-কাউনিয়া সেকশনে মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রুপান্তর প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান আছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরে লাকসাম-আখাউড়া ব্যতীত সমগ্র সেকশনে মিটার গেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। অবশিষ্ট আখাউড়া-লাকসাম অংশকে ডাবল লাইনে পরিণত করার লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ‘আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেল লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া ভারতীয় অনুদানে আখাউড়া-আগরতলা এবং এলওসি অর্থায়নে কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক, যুগোপযোগী জনপরিবহণ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্ন্তভুক্ত রেলওয়ের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আধুনিকীকরণের প্রোগ্রাম রেলওয়ের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ৩০ বছর মেয়াদী (২০১৬-২০৪৫) রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান ৬টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এডিবি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান মাস্টার প্ল্যানটি পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে জধরষ ঝযবনধ এ্যাপসের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের জন্য টিকেটিং সুবিধা চালু করা হয়েছে। অনলাইনে টিকেটের কোটা বৃদ্ধি করে শতকরা ২৫ ভাগ হতে শতকরা ৫০ ভাগ এ উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার এইড বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন স্টেশনে পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের মাধ্যমে কনটেইনার পরিবহণ করে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কনটেইনার পরিবহণ বৃদ্ধি করার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোর ডাবল লাইনে রূপান্তর এবং ধীরাশ্রমে একটি আইসিডি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কনটেইনার পরিবহনের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির জন্য একটি পৃথক কনটেইনার কোম্পানি গঠন করেছে। ভারতীয় রেলওয়ের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংযোগের জন্য ৮টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট রয়েছে। এই ৮টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে ৫টি (দর্শনা-গেদে, বেনাপোল- পেট্রাপোল, রোহনপুর, সিঙ্গাবাদ, বিরল-রাধিকাপুর, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি) বর্তমানে চালু রয়েছে। বন্ধ ৩টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে ১টি চালু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে আরো দুইটি নতুন ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১২৩টি স্টেশনের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।
প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, সবজি ও অন্যান্য জরুরি পার্শ্বেল মালামাল পরিবহণের জন্য বিভিন্ন রুটে বিশেষ পার্শ্বেল ট্রেন পরিচালনা করা হয়। রাজশাহী বিভাগের আমচাষিদের কথা বিবেচনা করে ২০২০ সাল হতে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ঢাকা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচল করছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গবাদিপশু পরিবহণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করে থাকে। এভাবেই রেলওয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক ম্যানেজমেন্ট ও অপারেশনাল পদ্ধতিসহ চলমান এবং ভবিষ্যৎ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন পরিবহণ খাতে রেলওয়ের বিকাশেই শুধু সহায়তা করবে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। রেলওয়ে তার নিজের বাজার শেয়ার পুনরুদ্ধার করে বাণিজ্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে, যা রেলওয়েকে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করবে। সরকার রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান, ৮ম পঞ্চবার্র্ষিক পরিকল্পনা ও রূপকল্প-৪১ এর আওতাধীন পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং কৌশলগত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নির্ধারিত উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনের জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে গণপরিবহণ হিসেবে রেলওয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে সেক্টর অবহেলিত ছিল। নিরাপদ, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব হওয়ায় রেলওয়ের জনপ্রিয়তা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি জনগণের মাঝে রেলভ্রমণের আগ্রহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে একটি আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ পরিবহণ নেটওয়ার্ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত চলমান উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রত্যাশিত সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

লেখক: উপপ্রধান তথ্য অফিসার, রেলপথ মন্ত্রণালয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন