বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আ.লীগের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে

৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশ বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৪ এএম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এদেরকে (আওয়ামী লীগ) যেতে হবে। এদের সময় হয়ে গেছে, এবার এদের যেতেই হবে। যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের লড়াইকারী ভাইদের হত্যা করেছে, গুম করেছে, আমাদের ছেলেদের আহত করেছে, কারাগারে নিয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে না যাবে, আমাদের বন্দি ভাইদের মুক্ত করতে পারছি, আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ অগণিত নেতাদের মুক্ত করতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

গতকাল বুধবার ’২৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের একপাশের সড়কে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা ছাড়াও অন্য ৯টি মহানগরে একযোগে এই কর্মসূচি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশে অংশ নিতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলা দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা খÐ খÐ মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। তারা রাস্তায় ত্রিফল বিছিয়ে তার উপর বসেন এবং সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করা হয়। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ফকিরাপুল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন ¯েøাগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীদের মাথায় বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা পড়ে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে। সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ১০ দফা দাবি দিয়েছি। এটার মধ্যে প্রথম দাবি হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। দাবি দিয়েছি কি? এই সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নতুন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত¡াবধায়ক সরকার একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেই নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা নতুন নির্বাচন করবেন যে নির্বাচনে সমস্ত দল অংশ গ্রহন করবে, জনগণ নিজের ভোট নিজে দেবে এবং জনগণের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটবে তাহলেই হবে এদেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন।

৪ ফেব্রæয়ারি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমনপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৪ ফেব্রæয়ারি দেশব্যাপী বিভাগীয় সমাবেশ হবে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যা আওয়ামী লীগ করেছে। প্রতিবার প্রতিক্ষণে প্রতিদিন তারা হত্যা করে চলেছে এবং আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে ফেলেছে। তাই এই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরাতে হবে। আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। প্রতিটি আন্দোলন আমাদের সফল হচ্ছে। আমরা প্রতিটি কর্মসূচিতে জনগণ আরো বেশি করে আসছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমাদেরকে অবশ্যই আগামী দিনগুলোতে অবশ্যই সফল হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদেরকে জয়ী হতে হবে। ইনশাল্লাহ সব কিছুকে অতিক্রম করে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে আমরা আগামী দিনে জনগণকে মুক্ত করব, দেশকে মুক্ত করব, অবশ্যই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। কারণ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না, তারা নিজেদের বিশ্বাস করে। তারা মনে করে এদেশটা তাদের পৈত্রিক সম্পদ করে, তারা মনে করে দেশের মানুষ তাদের প্রজা। সেভাবে তারা লুট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯ ফেব্রæয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কোন প্রেসিডেন্ট? যে প্রেসিডেন্টের কোনো ক্ষমতা নেই সেই প্রেসিডেন্ট। আমরা প্রেসিডেন্টের আসনটাকে খুব সম্মান করি। যেই থাক, যে হোক, যে দলের হোক প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের প্রধান। শিরোধার্য। এই প্রেসিডেন্ট কি তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন? তিনি কি আওয়ামী লীগের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কথার বাইরে একটা কাজ করতে পারেন? তিনি কি নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন করতে পারেন? তিনি কি একটা আইন পরিবর্তন করতে পারেন? পারেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই কারণে আমরা আমাদের ২৭ দফার মধ্যে পরিস্কার করে বলেছি যে, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। আমরা দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করতে চাই। যার মাধ্যমে একটা ভারসাম্য রক্ষা করে চেক এন্ড ব্যালেন্স এনে জনগণের সত্যিকার অর্থে বিষয় গুলো উঠে আসে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার আজকে দেশের অর্থনীতি ধবংস করেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্কগতিতে আজকে গরীব মানুষ আধাপেটা খাচ্ছে অথবা খেতে পারছে না। মধ্যবিত্ত গরীব হয়ে যাচ্ছে। এই দিন আমরা স্মরণ করছি, গণতন্ত্র হত্যা দিবস সেদিনকে মনে করে আমরা বলতে চাই যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, যেখানে বিএনপি সেখানেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মী সকলকে শপথ নিতে হবে এই দিনে-আগামী দিনে এদেশের সকল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকারকে বিদায় করা না হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে না, এদেশের অর্থনীতি মেরামত হবে না, এদেশে আইনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। তাই এদিনে আমরা শপথ নিতে চাই আগামী দিনে আন্েেদালন-সংগ্রামের মাধ্যমে ১০ দফা আদায় করে এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহŸায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, নাসির উদ্দিন অসীম, নিলোফার চৌধুরী মনি, সাইফুল আলম নিরব, শেখ রবিউল আলম রবি, মহানগরের ইশরাক হোসেন, তাবিথ আউয়াল, নবী উল্লাহ নবী, যুবদলের মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

১০ দফা দাবিতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে এটি তার তৃতীয় কর্মসূচি। গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুগপৎ আন্দোলনে প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল এবং ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার নগরীর কাজির দেউড়ি পুরাতন বিমান অফিস চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তিনি বলেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ। মহানগর বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এম এ হালিম, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, ইসকান্দর মির্জা প্রমুখ।

ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় সড়কে ১০ দফা দাবি ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন।

সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক হুমাইয়ুন কবির শাহীন ও রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় কুমিল্লা কান্দির পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক এমপি শাহজাহান খান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, দশ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মাগুরা জেলা বিএনপি। গতকাল বিকেলে জেলা বিএনপি ইসলামপুর পাড়া কার্যালয় প্রাঙ্গনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফারুকুজ্জামান ফারুক প্রমুখ।

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শহরের কাঠপট্টিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবুর সভাপতিত্ব করেন।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আয়োজনে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল কোর্ট চত্তর এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।

নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত প্রমুখ।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্দ্যোগে গতকাল সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইবাগ থেকে শুরু হয়ে মুক্তারপুর বাসস্ট্যান্ডে মোড়ে মিছিল শেষ হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলার আহবায়ক শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির নেতারা।

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোর শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন ছবি প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mst Lixona Akter Jolly ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫০ এএম says : 0
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত প্রধানমন্ত্রী
Total Reply(0)
Ali Sohag Md ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৪৮ এএম says : 0
অবৈধ সরকার নিষিদ্ধ করা হোক,, অবৈধ সরকারের অধিনে আর কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবেনা হবেনা হবেনা,,,??
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন