নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেশটির শিক্ষা পুলিশ ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির ৪১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার মধ্যে আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে জয়ী করার জন্য কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে ৪৪ বছর বয়সী হিপকিন্সকে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হঠাৎই পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। জেসিন্ডার পদত্যাগের ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপিরা রোববার হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে ভোট দেন।
জেসিন্ডা আরডার্ন করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের মতো জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সফল ব্যবস্থাপনার কারণেই তিনি দ্বিতীয় মেয়াদেও জয়লাভ করেন।
ক্রিস হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের জুলাইয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ওই বছরের শেষ দিকে করোনাবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব বর্তায় তাঁর ওপর। সে সময় শক্ত হাতে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন হপকিন্স।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহামারি-পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙা করাই হবে তাঁর প্রথম এবং প্রধান কাজ। হিপকিন্স বলেন, ‘এটি তিক্তমধুর মুহূর্ত। অবশ্যই আমি এত বড় দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। নিউজিল্যান্ডবাসীর কল্যাণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কাজ করে যেতে চাই।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন