সম্প্রতি সুইডেনে ও শুক্রবার ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুইডেনের উগ্রপন্থী রাজনীতিবিদ র্যাসমাস পালুদান। এমন ন্যাক্কারজনক কাজের জন্য তুরস্কের দূতাবাসকে বেছে নিয়েছেন তিনি। এমন ঘটনার নিন্দা জানাতে তুরস্কের সুইডেন দূতাবাসের সামনে হাজির হন শত শত মানুষ। এসম প্রতিবাদে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) তুরস্কের আঙ্কারায় সুইডিশ দূতাবাসের বাইরে একটি বিক্ষোভের সময় একজন ইমাম ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন। খবর এপির
গত শনিবার স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের সামনে পুলিশি পাহারায় পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন ধরিয়ে দেন পালুদান। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দা জানানো হয়েছে। মুসলিম বিশ্বও এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এমন ঘটনার মধ্যেও গতকাল শুক্রবার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে তুরস্কের দূতাবাস ও একটি মসজিদের সামনে আবারও পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়েছেন পালুদান।
সুইডেনে কট্টর ডানপন্থীদের পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা ও সমালোচনায় মুখর পুরো বিশ্ব। মুসলিম বিশ্ব এ নিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেই আবারও একই কাজ করলেন পালুদান।
পালুদান সুইডেন ও ডেনমার্কের যৌথ নাগরিক। গত বছর এপ্রিলে তিনি ঘোষণা দেন, পবিত্র রমজান মাসে তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পবিত্র কোরআন পোড়াবেন। তার এ ঘোষণায় সুইডেনজুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। সেই ঘোষণা মোতাবেক তিনি প্রথমে সুইডেনে, এরপর ডেনমার্কে এ কাণ্ড ঘটালেন।
সম্প্রতি ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে সুইডেন। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ন্যাটোর অন্যতম সদস্য তুরস্ক। তারা সুইডেনকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। এই কারণে তুরস্কের দূতাবাসকে লক্ষ্য করেছে পালুদান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন