মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যশোরে বিষাক্ত নেশাদ্রব্য পান করে ৩ জনের মৃত্যু

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

যশোরে বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো দু’জন। যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতে তারা ওই নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করলেও বিষয়টি গত শুক্রবার রাতে জানাজানি হয়।
মৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম ও শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন ও আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম । সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে আবুল কাশেম মারা যান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসলাম এবং গত শুক্রবার দুপুরে জাকির মারা যান।
অসুস্থরা হলেন, সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল। তারা গোপনে ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি মেহগনি ও লিচু বাগানে ওই পাঁচজন বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের চিকিৎসা নেন। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে ইসলামকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তথ্য গোপন করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মারা যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা দ্রæত ছাড়পত্র ছাড়াই লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে, বাকী চারজন বাড়িতে আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে গত শুক্রবার সকালে তারা একে একে যশোর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এরপরই তাদের বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানের বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালে ভর্তি বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে সরে পড়েন। অপর অসুস্থ আবুল কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের মুখে গন্ধ থেকে বোঝা যায় অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য পানের ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেছিলেন। কিন্তু তাদের স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল ওসি তাজুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্যকেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। পরে খোঁজখবর নিয়ে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন