বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের ব্যালট পেপার এখন পুলিশ হেফাজতে! ২৮ জানুয়ারি ছিল ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ভোটযুদ্ধ। শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ব্যালট পেপার গণনার চলকালে একপর্যায়ে প্রার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গণনা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য ব্যাটল পেপার পুলিশের হেফাজতে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম। জানা গেছে, ভোট গণনার একপর্যায়ে সাবেক ফিফা রেফারি ও নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মিরন এবং তার প্যানেলের অনেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ করেন যে, ‘একটি জাল ভোট পড়েছে এবং ব্যালটও বাইরে এসেছে। তাই আমরা ভোট গণনা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছি।’ মিরনের বিপরীত প্যানেলের যুগ্ম-সম্পাদক প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন,‘ভোট গণনা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।’ তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন একমত হয়ে ব্যালটগুলো পুলিশ হেফাজতে রেখেছে বলে জানান কমিশন প্রধান নজরুল ইসলাম। তার কথায়, ‘ভোট গণনা স্থগিত করেছি। ব্যালটগুলো অরক্ষিত রাখা যায় না। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় সেই অর্থে ব্যালট নিরাপদও নয়। তাই স্থানীয় পল্টন থানার পুলিশ ডেকে এনে তাদের হেফাজতে ব্যালট থানায় রাখার জন্য দেওয়া হয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির সঙ্গে আলোচনা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। ফলে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেনি তারা। তবে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোট গণনায় মিরনের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন হাজী ওসমান গণি। যদিও মিরনের প্যানেলের দাবি, নির্বাচনে ওসমান গণি অনেক টাকা বিতরণ করেছেন ভোটারদের মাঝে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন