ঢাকার কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাংবাহিনীর ১৬সদস্য র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ শাহ জালাল (১৯),মোকাব্বির হোসেন আয়ান (১৯),ইমন সরদার (২০),মোঃ রাসেল (১৯), মোঃ সুজন (১৯), মোঃ মুন্না হোসেন (১৯), মোঃ রাজু (১৯), মোঃ হাসান (১৯), মোঃ লিখন (১৬), মোঃ জিসান (১৬), মোঃ রায়হান শেখ (১৬), মোমিদ হোসেন (১৫), মোঃ রাব্বি (১৬), মোঃ আপন খন্দকার (১৩), মোঃ হৃদয় (১৫) ও মোঃ নাজিম (১৩)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে র্যাবের একটি অভিযানীর দল রোববার গভীর রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী থানায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। আজ সোমবার দুপুরে র্যাব-১০ সদর দপ্তর কেরানীগঞ্জে এ র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃতরা “কিশোর গ্যাং” লিডার জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। তারা জালাল ওরফে পিচ্চি জালাল এর নেতৃত্বে ঢাকার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ, শ্যামপুর ও কদমতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল হ্যান্ডসেট, ল্যাপটপসহ সাথে বহন করা দ্রব্যসামগ্রীর ব্যাগ প্রভৃতি ডাকাতি করে দ্রæত পালিয়ে যেত। গ্রেফতারকৃত কিশোর অপরাধীরা স্বীকার করে যে, চুরি/ছিনতাই ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি এবং তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের অসামাজিক ও অশ্লীল টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল। প্রায়শঃই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকল্পে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে সাধারন মানুষের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করে আসছিল বলে জানা যায় ।
গ্রেফতারকৃত ১৬ জন কিশোর গ্যাং এর মধ্যে মোঃ শাহ জালাল, মোকাব্বির হোসেন আয়ান, ইমন সরদার, মোঃ রাসেল ’দের বিরুদ্ধে শ্যামপুর ছিনতাই মামলায় এবং মোঃ সুজন , মোঃ মুন্না হোসেন, মোঃ রাজু,মোঃ হাসানদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় অপর ছিনতাই মামলায় মোট ০৮ জনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকী ০৮ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে র্যাব-১০ তাদের নিকট হতে মুচলেকা গ্রহণ পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। র্যাব-১০ আগামী দিনগুলোতে তাদেরকে সার্বক্ষনিক নজরদারীতে রাখবে, যাতে তারা আর কখনো এধরনের অপরাধমূলক কাজে যোগ দিতে না পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন