বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব আলহাজ মুহাম্মদ আজম খান বলেছেন, চিশতিয়া তরীকার এ যুগের প্রবাদ পুরুষ আমীরে শরীয়ত হযরত মাওলানা মোহাম্মদুলাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) বলেছেন, আমাদের জাতীয় মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে আত্মশুদ্ধির পথ তথা তরীতে তাসাউফের পথ। আত্মশুদ্ধি হলেই গোটা ব্যক্তি জীবন শুদ্ধ আর কিছুসংখ্যক ব্যক্তি শুদ্ধ হলেই গোটা জাতি শুদ্ধ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আত্মশুদ্ধির শ্রেষ্ঠ তরীকা হচ্ছে চিশতিয়া তরীকা। তিনি আরও বলেন, খেলাফত আন্দোলন তরীকতে চিশতিয়ার আসল মেহনতকে পুনর্জাগরিত করতে এলাকায় এলাকায় খানকা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর ঢাকার মহাখালী সাততলাস্থ হাফেজ্জী হুজুর খানকা মুবারকে চিশতিয়া তরীকার খেলাফতপ্রাপ্ত পীর সাহেবদের এক সম্মেলনে এ কথা বলেন। খানকার পরিচালক হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম বিন আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ও খেলাফত কৃষক শ্রমিক আন্দোলনের আমীর  হযরত মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আকন্দ।
মাওলানা আকন্দ বলেন, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. আমাদের জাতীয় জীবনের বৃহত্তর অঙ্গন রাজনীতিকে তরীকতে রূপান্তরিত করতে তওবা ও জিকিরের দাওয়াত দিয়ে গেছেন। হযরত হাফেজ্জী হুজুরের নির্দেশিত পথ অতিক্রম করতে খেলাফত আন্দোলন এখন বহুমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, আলহাজ রফিকুল ইসলাম বাবুল, সংগঠনের মুন্সিগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ পীর সাহেব টেংঙেরচর।

শায়খুল ইসলাম ইন্টা. জামেয়া

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের সহকারী পরিচালক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা মাওলানা শাহ্ নজরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে এদেশের আলেম-উলামাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বদলীয় মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ইসলামী বিদ্যাপিট দারুল উলূম দেওবন্দের সূর্য সন্তান। শুধু তিনিই নয়, আলামা মুহাম্মদ উলাহ হাফেজ্জি হুজুর (রহ.) যার দিকনির্দেশনায় এমদাদুল হক আড়াইহাজারী (রহ.) আড়াইহাজার থানার কমান্ডার হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া ঢাকা আরজাবাদ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা জমিয়ত নেতা আলামা শামছুদ্দিন কাসেমী (রহ.), জমিয়ত নেতা মাওলানা মোস্তফা আযাদ, আলামা কাজী মুতাসিম বিলাহও ছিলেন খলিফায়ে মাদানী আলামা লুৎপুর রহমান বর্ণভী (রহ.)’র বাড়ীতে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা রাত্রীযাপন করেছিলেন, অনেক হিন্দু পরিবারকে তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন।
সুতরাং এদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে আলেমরাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমান সরকার এর স্বীকৃতি স্বরূপ মাদানী পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করে। এসব ইতিহাস আজ বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্ণনার মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ সবাইকে আস্বাদন করতে হবে।
১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় নগরীর রায়নগর দর্জিপাড়ায় অবস্থিত শায়খুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল জামেয়ায় আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
ছাত্র জমিয়ত সংসদের সভাপতি মাওলানা ওসমান গনির সভাপতিত্বে ও জিএস নাজিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় কুরআন তেলাওয়াত করেন বিশ্বনন্দিত হাফেযে কুরআন আবদুলাহ আল মাহফুজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামেয়ার শিক্ষক ও সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামেয়ার শিক্ষক হাফেয মাওলানা মনছুরুল হাসান, হাফেয মাওলানা হাতেম আহমদ, আতিকুর রহমান নগরী প্রমুখ।
পরিশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী সকল বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন