শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহিলা

ভায়া পদ্ধতি জরায়ু-মুখের ক্যান্সারে অকালে নারী মৃত্যু রোধের একটি কার্যকরী উপায়

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শামীম আরা বেগম : ঢাকা, নভেম্বর ৩০ (নিউজ নেটওয়ার্ক)-সংসার ও চাকরি মিলিয়ে বেশ ভালই কাটছিল জাহানারা বেগমের দিনকাল। তিনি পেশায় একজন স্বাস্থ্যকর্মী। কিছুদিন আগে ঢাকায় আসেন প্রশিক্ষণ নিতে। একই সময় তার পরিচিত আরেক স্বাস্থ্যকর্মী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা নির্ণয়ের জন্য ভায়া পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ নিতে আসেন। তার মাধ্যমে জাহানারা জানতে পারেন ত্রিশোর্ধ বিবাহিত মহিলাদের জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা জানার জন্য ভায়া পরীক্ষা করানো উচিত। তিনি বিষয়টি জানার পর প্রথমে সংকোচ বোধ করলেও পরে তার জরায়ু-মুখ ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা আছে কিনা তা জানার জন্য ভায়া পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় তার ভায়া পজেটিভ অর্থাৎ ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা ধরা পড়ে। আর দশজন  মহিলার মতো তিনিও জানতেন না জরায়ু- মুখ ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা আসলে ক্যান্সার নয়। এই অবস্থা নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা নিলে তা সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। তাই ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থার চিকিৎসার বিষয়টি না জানার কারণে জাহানারা প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসকরা ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা ও এর সহজ চিকিৎসা পদ্ধতির বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বললে জাহানারা আশ্বস্ত হন এবং চিকিৎসা নিতে শুরু করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনী বিভাগে। সেখানে তাকে তার ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা অনুসারে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসার পর তাকে তিন বছর পর্যন্ত ফলোআপে রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা পুনরায় না পাওয়া গেলে তার জরায়ু-মুখ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মনে করা হবে। জরায়ু-মুখের ক্যান্সার বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মহিলাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশের মহিলাদের যত ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ু-মুখের ক্যান্সারের হার সবচেয়ে বেশি (শতকরা ২৫ ভাগ) এবং প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারের মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সারে শতকরা ৭০ ভাগ মহিলা আক্রান্ত হন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ হাজার মহিলা নতুন করে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন ছয় হাজার জন।
তবে অন্যান্য ক্যান্সারের চেয়ে জরায়ু-মুখ-ক্যান্সার অনেক বেশি নিরাময়যোগ্য। উন্নত দেশের মহিলারা স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ায় জরায়ু-মুখ নিয়মিত পরীক্ষা করান। তাই প্রাথমিক অবস্থায় সমস্যা সনাক্ত করে চিকিৎসার ফলে প্রায় একশত ভাগ রোগীই আরোগ্য লাভ করে থাকেন। অন্যদিকে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মহিলারা বিভিন্ন কারণে নিজেদের  স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে সহজে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। সেখানে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা না থাকা, চিকিৎসা সেবা গ্রহণে উদাসীনতা এবং আমাদের দেশে জরায়ু-মুখ পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য মতে, এই ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীদের শতকরা ৮০ জনই শেষ পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে আসেন। তখন অনেক দেরি  হয়ে যাওয়ার ফলে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।  জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের রোগীদের ডাক্তারের কাছে দেরিতে আসার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্যান্সার না হওয়া পর্যন্ত সুদীর্ঘ ১০-২০ বছর পর্যন্ত যে ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা থাকে সেই সময় রোগীর কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় না। তাই ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা নির্ণয় করতে বা এ থেকে ক্যান্সার হতে যাচ্ছে কি না তা নির্ধারণের জন্য জরায়ু-মুখ নিয়মিত পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে বাংলাদেশে খুব সহজ পদ্ধতিতে ও কম খরচে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা নির্ণয়ের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যে পদ্ধতিতে তা সনাক্ত করা হয় তাকে ভায়া (ঠওঅ-ঠরংঁধষ ওহংঢ়বপঃরড়হ ডরঃয অপঃরড়হ অপরফ) বলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনীকোলজী বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক  ডা: আশরাফুন্নেসা বললেন, “ক্যন্সারপূর্ব অবস্থা বা এ থেকে ক্যান্সার হতে যাচ্ছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য এই ভায়া পদ্ধতি বাংলাদেশে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়। বর্তমানে ৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৩০টি জেলা হাসপাতাল ও ৩০টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভায়া করা হচ্ছে”। এই পদ্ধতিতে শতকরা ৫ ভাগ এসিটিক এসিড একটি তুলার বলে মিশিয়ে জরায়ু মুখে এক মিনিট লাগিয়ে রাখা হয়। এক মিনিট পর জরায়ু-মুখের কোন অংশ সাদা বর্ণ ধারণ না করলে তার ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা অনুপস্থিত (ভায়া-নেগেটিভ) ধরা হয় এবং তাকে তিন বছর পর আবার ভায়া করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। অপরদিকে ভায়া পরীক্ষায় কোন মহিলার জরায়ু-মুখের কোন অংশ সাদা বর্ণ ধারণ করলে (ভায়া-পজেটিভ) তার ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয় এবং কল্পোস্কপি (জরায়ু-মুখের ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা সনাক্তকরণের সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিকে মাইক্রোস্কোপ জাতীয় যন্ত্রের সাহায্যে জরায়ু-মুখ বড় করে দেখা হয় এবং সবচেয়ে অস্বাভাবিক অংশটি থেকে বায়োপ্সি পরীক্ষা করা হয়)। পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে ক্যান্সার-পূর্ণ অবস্থা নির্ণয়ের জন্য উচ্চতর সেবাকেন্দ্রে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা নিকটবর্তী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে) পাঠানো হয়। ভায়া পজেটিভ হলেই আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই।  কারণ ভায়া পজেটিভ মানেই ক্যান্সার নয়। তবে এ থেকে আগামী ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ক্যান্সার হতে পারে। ডাঃ আশরাফুন্নেসার মতে, প্রতি ১০০ জন মহিলার ভায়া টেস্ট করলে ৪/৫ জনের পজেটিভ পাওয়া যায়। কল্পোস্কপি পরীক্ষার মাধ্যমে এই ৪/৫ জনের মধ্যে মাত্র ২/৩ জনের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা প্রমাণিত হয়, বাকিদের জরায়ু মুখ এই পরীক্ষায় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পাওয়া যায়। নিশ্চিতভাবে ক্যান্সার-পূর্ব অবস্থা নির্ণয় হলে এসব রোগীদের প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসা দেয়া হয়, চিকিৎসা নিলে এসব রোগী নি¤œলিখিত বিষয়গুলো এড়াতে পারেন:
১. এসব রোগীর জরায়ু ফেলে দেবার প্রয়োজন হয় না;
২. জরায়ুর মুখ কিছুটা পুড়িয়ে দিলে বা কেটে ফেললে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং  ৩. চিকিৎসার পরে গর্ভধারণ করা সম্ভব হয়। যেসব মহিলার জরায়ু-মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি রয়েছে তারা হচ্ছেন:-
১. ১৮ বছরের নিচে বিয়ে/যৌন সম্পর্ক স্থাপন এই ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ। আঠারোর কম বয়সী মেয়েদের জরায়ু-মুখের কোষগুলো ঠিকমতো পরিণত না হওয়ায় যৌনমিলনে অভ্যস্ত হবার ফলে এই কোষগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। বাংলাদেশে সরকারের আইন অনুসারে আঠারো বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে হবার নিয়ম নেই। কিন্তু এই নিয়মটি যথাযথভাবে মানা হয় না। এছাড়া বর্তমানে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্কও ক্রমাগত বাড়ছে। ২. কোন মহিলার নিজের অথবা তার স্বামীর একাধিক বিয়ে হওয়ার কারণে ঐ মহিলার এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩. যাদের নিজের বা স্বামীর একাধিক যৌনসঙ্গী থাকে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হবার ভয় বেশি। ৪. যে সব মহিলা অধিক সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেয় তাদের এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি। ৫. যেসব মহিলার যৌনবাহিত রোগ বিশেষ করে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে।
৬. নি¤œ আয়সম্পন্ন এবং স্বল্পশিক্ষিত মহিলা যারা নিরাপদ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নন এবং সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেন না তাদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হাবার আশঙ্কা বেশি। তাই জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে নিচের বিষয়গুলো জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে-
১.বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ বন্ধ করা; ২. বিশ্বস্ত যৌনসঙ্গী রাখা;
৩. ২/৩ টির বেশি সন্তান না নেয়া; ৪. নিরাপদ যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
এছাড়া জরায়ু-মুখ ক্যান্সার যেহেতু প্রতিরোধ করা সম্ভব তাই প্রয়োজন বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং জরায়ু-মুখ নিয়মিত পরীক্ষা করা। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার আগে অনেকদিন ধরে একটি ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা থাকে। এই প্রাথমিক অবস্থাকে সনাক্ত করে সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই জরায়ু-মুখ ক্যান্সার মুক্ত রাখতে চাইলে বিবাহিত/যৌনসম্পর্ক রক্ষাকারী মহিলা যাদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তাদেরকে অবশ্যই প্রতি তিন বছর পর পর প্রশিক্ষিত ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে জরায়ু-মুখ পরীক্ষা (ভায়া) করতে হবে কারণ এই বয়সের পরে এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে যাদের আঠার বছরের আগেই বিয়ে হয়েছে তাদের জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি থাকায় এসব মহিলাদের বয়স পঁচিশ বছর হলেই জরায়ু-মুখ পরীক্ষা করানো শুরু করতে হবে। আমাদের মতো দরিদ্র একটি দেশে ক্যান্সারের মতো একটি রোগের চিকিৎসা সুবিধা অপর্যাপ্ত এবং ব্যয়বহুল। তাছাড়া ক্যান্সার হয়ে গেলে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা প্রায় অসম্ভব। তবে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য হওয়ায় এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং নিয়মিত ভায়ার মাধ্যমে জরায়ু-মুখ পরীক্ষা করে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনএফপিএ-এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনীকোলজী বিভাগ-ফোকাল পয়েন্ট-সারভাইক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট  ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, ক্যান্সার পূর্ব অবস্থা নির্ণয়ের খুবই সহজ এবং স্বল্প খরচের ভায়া পদ্ধতি সারা দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং দিয়ে আসছে। ডাঃ আশরাফুন্নেসার মতে, বর্তমানে ৩০টি জেলায় ভায়া পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হয়েছে, আগামী দুই বছরে দেশের বাকি সব কটি জেলায় এটা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ভায়া পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে পারলে প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ু-মুখের ক্যান্সর সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে রোগীর পরিবার আর্থিকভাবে যেমন সর্বস্বান্ত হবে না তেমনি মাতৃমৃত্যুর হারও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আর মাতৃমৃত্যুর হার না কমাতে পারলে বহুবিবাহ বৃদ্ধির সাথে সাথে জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পাবে যা আমাদের পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে প্রভাবিত করবে। তাই জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সারা দেশব্যাপী ভায়া পদ্ধতির বিস্তারের পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধা নিতে আসার জন্য ব্যাপক জনসচেতনতাও তৈরি করতে হবে। আর এ জন্য দেশের গনমাধ্যমগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
য় নিউজ নেটওয়ার্ক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
S M Muslim Uddin ৬ আগস্ট, ২০১৭, ৯:৪৪ এএম says : 0
Aponader health tips articles gulo pore ami onek upokkito hoi, Jamalpur ki VIA test korajai?
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন