বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জাপানের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে সভায় নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:১৩ পিএম

জাপানের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। নানা জটিলতার দরুণ দেশটিতে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণে গতি আসছে না। জাপানে শুধু টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণ নয়; দেশটির সংশ্লিষ্ট খাতে কর্মী নিয়োগের চাহিদা থাকতে হবে। দেশটির শ্রমবাজার পুরোপুরি চালু করতে হলে আগে জাপান সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রকৃত চাহিদা (কোটা) আসতে হবে। সরকারের দেয়া প্রস্তাবিত অভিবাসন ব্যয় (১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা) রিভিউ করতে হবে। কর্মপক্ষে কর্মী প্রতি অভিবাসন ব্যয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মসংস্থান অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে জাপানে কর্মী প্রেরণে গতিশীল করা এবং অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক প্রতিনিধিদের অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, বায়রার সাবেক শীর্ষ নেতা মো.নূরুল আমিন ও বায়রার যুগ্ম মহাসচিব মো.ফখরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগের বিষয়ে ২০১৮ সালে দু’দেশের মধ্যে টোকিওতে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। টেকনিক্যাল ইন্টার্ন নিয়োগে সপ্তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে এই স্মারক সই করেছিল। সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তৎকালিন প্রবাসী সচিব বলেছিলেন, এই স্মারক জাপানের ৭৭টি পেশার ১৩৭ টি কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা-দক্ষ টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের জাপানী কাজে প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানার্জন করতে পারবে। তারা জাপানে তিন থেকে পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পাবে। কাজ শেষে তারা দেশে ফিরে জাপানী প্রযুক্তি ও জ্ঞানকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন। কনস্ট্রাকশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, গার্মেন্টস, কৃষি, ফুড প্রসেসিং ও কেয়ার গিভিং খাতে জাপানের জনবলের অভাব রয়েছে।
টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রামের (টিআইটিপি) আওতায় জাপান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ থেকে এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সর্বাধিক পরিমাণ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে নেয়া শিক্ষানবিশ কর্মীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পরে তারা দেশে ফিরে নিজেরাই উদ্যোক্তা হতে পারবেন। আইএম জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ২০১৫ সালের ৮ জুলাই টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি জাপানে কর্মী প্রেরণে তালিকাভুক্ত হলেও কর্মী গমনে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন