মাগুরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সকালে মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হামলার শিকার ছাত্ররা। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান।
প্রতিযোগিতায় জেলা সদরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। খেলা চলাকালীন সময়ে মাগুরা সদরের আলোকদিয়া পুখরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আশিকের সাথে বুজরুক শ্রীকুন্ডী দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেীণীর ছাত্র রুমান এর বচসাকে কেন্দ্র করে পুখরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আশিক তার বন্ধু মাগুরা সদরের পাল্লা গ্রামের হাসিবকে খবর দিয়ে স্টেডিয়াম মাঠে আনে। এ সময় আশিক ও তার বন্ধু হাসিব সহ তার সহযোগিরা বুজরুক শ্রীকুন্ডী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে বাশেঁর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তাদের হামলায় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক সহ ৬ জন ছাত্র আহত হন। পরে আহতদেরকে মাগুরা সদর থানা পুলিশ তাদের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তারা হলেন, রুমান হুসাইন,সিয়াম,ইব্রাহিম, তহিউদ্দিন, রহিম। এ ঘটনায় হাসিব নামের আরো এক জন আহত হয়েছেন।
গুরতর আহত রুমান জানান, আশিকের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে আমি খেলতে চলে যাই। পরে আশিক ফোন করে ওর বন্ধু ও ছাত্রলীগৈর পোলাপান ডেকে এনে তাদের মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে মারধোর ও লাঠিপেটা করে। সে সময় মাদ্রাসার এক শিক্ষকও আহত হয়।
ঘটনার বিষয়ে বুজরুক শ্রীকুন্ডী দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়ার শিক্ষক হারুনার রশিদ জানান, তিনি ছাত্রদের কে নিয়ে খেলা পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু খেলার এক পর্যায়ে এসে তাদের উপর হামলা চালায়। তিনি টেকাতে গেলে তাকে সহ তারা ছাত্রদেরকে পিটিয়ে যখম করে। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই তিনি স্টেডিয়ামে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে পুলিশ। তিনি বলেন, অভিযোগ করলে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন