চীনের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। চলতি মাসেই চীন সফরে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবেন ব্লিঙ্কেন। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বরাবর ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষেই থেকেছে চীন। এমন পরিস্থিতিতে ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে চীনা কর্মকর্তাদের বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কার্বি জানিয়েছেন, আগামী ৫ ও ৬ তারিখ চীন সফরে যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনায় বসবেন তিনি। বিশেষ করে দুই দেশের সেনা বাহিনী নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ আসবে এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়। যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী আমেরিকাই, এমনটাও বোঝা গিয়েছে জনের বিবৃতি থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন সেনেটের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এই সফরের তীব্র বিরোধিতা করে সরব হয় চীন। সামরিক ও কূটনৈতিক-দুই দিক থেকেই তাইওয়ানের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে বেইজিং। তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে লালফৌজ। মার্কিন স্পিকারের এই সফর আসলে চীনের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত-এমনটাই বার্তা দেয়া হয় চীনের তরফে। তবে হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ব্লিঙ্কেনের সফরে আলোচনার মাধ্যমে তৎকালীন সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে আশাবাদী আমেরিকা।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বরাবরই রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চীন। নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে কার্যত রাশিয়ার সমর্থন করেছে চীন। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে একসঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরে ফের এক টেবিলে বসতে চলেছে চীন ও আমেরিকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই মহাশক্তিধর দেশের মধ্যে কী আলোচনা হয়, সেদিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন