বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ধুঁকছে পাকিস্তান, ৪৮ বছরের রেকর্ড ভাঙল মুদ্রাস্ফীতি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৪৫ পিএম

আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। মুদ্রাস্ফীতির জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেদেশের অর্থনীতি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ২৭.৫৫ শতাংশে। যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। শেষবার ১৯৭৫ সালের মে মাসে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অবস্থায় নাভিশ্বাস আমজনতার।

এদিকে এই মুহূর্তে এই আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা আইএমএফ। গতবছরও মোটা অঙ্কের ঋণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার পাকিস্তানকে দুরবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল। কিন্তু এবছর সেটাও সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে ইতিমধ্যেই ঋণ সংক্রান্ত জরুরি আলোচনা করতে সেদেশে এসেছে প্রতিনিধি দল। সাড়ে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে মরিয়া ইসলামাবাদ। কিন্তু এই ঋণ নিতে প্রচুর শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে করাচি বন্দরে থমকে রয়েছে বহু কন্টেনার। কেননা আমদানি বন্ধ রয়েছে সেখানে। থমকে গিয়েছে বহু নির্মাণকাজ। কারখানাগুলিও আংশিক ভাবে বন্ধ। এমন অবস্থায় দু’বেলা দু’মুঠো জোগাড় করাই যেন চ্যালেঞ্জ। পথের ধারে বসে বিরিয়ানি খেতে খেতে জাফর ইকবাল নামের এক ৫৫ বছরের ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের মুখে পড়ে জানাচ্ছেন, ‘ভিখারির সংখ্যা বাড়ছে। কমছে শ্রমিকের সংখ্যা। মুদ্রাস্ফীতি এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে ঠিকঠাক উপার্জন করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি জানান, এক ব্যক্তি অভুক্ত মানুষদের বিরিয়ানি বিলি করছিলেন। তা দিয়েই আপাতত পেট ভরিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। ফলে রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল অমিল ইসলামাবাদে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, সে দেশে পাম তেল, সয়াবিনের তেল ও সানফ্লাওয়ার তেলের জোগানে ঘাটনি দেখা দিয়েছে। মিলছে না রান্নার তেলও। ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত তেলভাণ্ডারেও টান পড়ছে। অথচ এগুলি সে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় নাম রয়েছে এই তিন তেলের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন