বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। ফল ঘোষণার পর হিরো আলম গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া সদরের এরুলিয়া নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
‘স্যার ডাকতে হবে, এ জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে হারিয়ে দিয়েছে’, উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘এমপি হলে আমাকে স্যার বলতে হবে। এ জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে আগে থেকেই মানতে পারছিলো না। আমাকে স্যার বলতে কষ্ট হবে এমন লোকেরাই ফলাফল পাল্টে আমাকে পরাজিত করেছেন। তারা আমাকে ইভিএম কারসাজিতে হারিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আমি এমপি হলে নাকি বাংলাদেশের সম্মানহানী হবে। এমন ভাবনা থেকেও আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। মশাল মার্কার অস্তিত্ব ছিল না। আমি কাহালু-নন্দীগ্রাম আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জোগসাজশে গণনায় আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এ ফলাফল মানি না।’
হিরো আলম আরো বলেন, ‘সারাদিন মাঠে ভোটারের উপস্থিতি তেমন ছিল না। হঠাৎ এত ভোট কোথা থেকে এলো বুঝতে পারছি না। মশাল মার্কার অস্তিত্ব ছিল না। তাদের নির্বাচনী প্রচার ছিল না। মানুষের তাদের আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপর কীভাবে আমার চেয়ে বেশি ভোট পেল বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
বগুড়া সদর আসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেখানে অনেক কেন্দ্রে তার এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ফলে সকালেই ওই আসনের ভরসা ছেড়ে দিই।’
ফলাফল নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখন কোনো কথা বলব না। পরে জানানো হবে।’
জিততে না পারলেও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে চমক দেখিয়েছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। বুধবার উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৫৯১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ১১২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে জয়ী মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৩৭ ভোট। আর একতারা প্রতীক নিয়ে হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন