বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সরকার কোমলমতি শিশুদের ধর্মহীন জাতিতে পরিণত করার খেলায় মেতে উঠেছে - ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

হাফেজ শাফায়েত হোসাইন সভাপতি, হাফেজ ফরহাদ ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৩০ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী কোমলমতি শিশুদের ধর্মহীন জাতিতে পরিণত করার খেলায় মেতে উঠেছে। এমন একজন শিক্ষামন্ত্রী এদেশের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারে না। ইসলামবিরোধী সিলেবাসে আমাদের প্রজন্মকে নাস্তিক বানাতে দেয়া যায় না। তিনি বলেন, ইসলামবিরোধী বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা অনুযায়ি শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, যে বই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে, এই বই পড়ার যোগ্য নয়। পাঠ্য সিলেবাস ২০২৩ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা উত্তর জেলার বাঙ্গরাবাজার থানা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত থানা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের বাঙ্গরাবাজার থানা সভাপতি মাহফুজ সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক-এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কুমিল্লা উত্তর জেলা সভাপতি মুহাম্মদ মাহদী হাসান। বিশেষ বক্তা ছিলেন হোসাইন আহমদ।
বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মু. আবদুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাঙ্গরাবাজার থানা সভাপতি মুফতি দেলোয়ার আমিন, সাবেক সভাপতি থানা মুফতি মুহাম্মদ বিন আব্দুল কুদ্দুস, সরকারী তিতুমীর কলেজ শাখা সভাপতি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সাবেক বাঙ্গরাবাজার থানা সভাপতি মাওলানা ফয়সাল মাহমুদ, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সাফায়েত হোসেন।
সম্মেলনশেষে ২০২৩-২৪ সেশনের জন্য হাফেজ শাফায়েত হোসাইনকে সভাপতি, মু. আবু বকর সিদ্দিককে সহ-সভাপতি এবং হাফেজ ফরহাদ হুসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে বাঙ্গরাবাজার থানা কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, মানুষ হযরত আদম আ. এর সন্তান। এখন যারা মানুষকে বানরের সন্তান বানাতে চায় তাদেরকে তাদের রুখে দিতে হবে। মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকিদা ও দেশপ্রেম ধ্বংসের জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ইসলামবিরোধী শক্তির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মুসলমানের সন্তানদের নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা তৈরি করার জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষা সিলেবাসের পড়তে পড়তে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে পৃথক সিলেবাসে মাদরাসার বই ছাপাতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohmmed Dolilur ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১:৫০ এএম says : 0
আচ্ছা সবাই বলে আমরা মুসলমান,কিন্তু এই মুসলমানদের ছেলে মেয়েদের হাতে ইসলাম বিরোধী বই যারা দিয়েছে,তারা কি করে ঘরে ঘুমিয়ে আছে,এবং মুসলমানেরা সংগ্রাম করছে এই বই বাতিল করতে,এখন প্রশ্ন হলো 92% মুসলমান থেকেও সংগ্রাম করতে হবে,তাই হবে কি জন্য,92%মুসলমান যাই বলে তাই হবে,কিন্তু আমার প্রশ্ন এই92%মুসলমান কোথায় তারা কি আসলেই প্রকৃত মুসলিম ধর্ম চায় না কি নামেই চলতে চায়,যদি সত্যি তাহারা প্রকৃত মুসলমান হয়ে থাকে,কি করে ঘরে বসে রইলেন,সামান্য বিধরমীও কিছু লোক ইসলাম বিরোধী বই চাঁপাবে এবং কমলমতী ছেলে মেয়েদের হাতে দিবে এবং দিয়েছে,ওদের এতই সাহস যে 92%মুসলমানের দেশে এই গুলি করা,এবং করে চলেছেন,আচার্যের বিষয়,কোথায় 92%মুসলমান,এরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই শয়তানদের হাত ভেঙ্গে দিতে পারে,এত এব দেরী করলে ছেলে মেয়েরা বরবাদ হয়ে যাবে,আসুন সবাই মিলে এই ইসলাম বিরোধীদের হাত ভেঙ্গে দিতে এবং ইসলাম কে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজই রাস্তায় নেমে পড়ি ভয় করে লাভ নেই ভয় শুধু আল্লা কে করবেন,শয়তান কে নয়,
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন