বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধায় বিশ্ববিদ্যালয় চাই

বহু ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী গাইবান্ধা। কথিত আছে আজ থেকে প্রায় ৫২০০ বছর আগে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় বিরাট রাজার রাজধানী ছিল গাইবান্ধা। বিরাট রাজার প্রায় ৬০ হাজার গাভী ছিল। সেই গাভী বাঁধার স্থান হিসেবে গাইবান্ধা নামটি এসেছে বলে কিংবদন্তি রয়েছে। গাইবান্ধা জেলায় রয়েছে ১৬২১টি ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প ২টি এবং ১টি বৃহৎ শিল্প। এই জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কোচাশহর ইউনিয়ন কুটির শিল্পে খুবই উন্নত। এখানে আছে রাজা বিরাটের প্রাসাদ, নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি, বর্ধনকুঠি, শাহ্ সুলতান গাজীর মসজিদ, মীরের বাগান, ভরতখালী কাষ্ঠ মন্দির। এছাড়াও আছে ঐতিহ্যবাহী মহিমাগঞ্জ চিনিকল, বালাসীঘাট, ফ্রেন্ডশীপ সেন্টার, এসকেএস ইন, রংপুর সুগার মিলস্ লিমিটেড, মাস্তা মসজিদ। তাছাড়াও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন, গণপরিষদের প্রথম স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদ, সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সাহিত্যিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মকনুলার রহমান সরকার, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং অবিভক্ত বাংলার কৃষিমন্ত্রী আহমেফ হোসেনও ছিলেন গাইবান্ধার সন্তান। কিন্তু অত্যন্ত কষ্টকর বিষয় হলো এতো ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করার পরও গাইবান্ধা আজও নানা দিক থেকে অবহেলিত। গাইবান্ধায় না আছে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, না আছে কোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ। এই জেলার লোকজন অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করার কারণে বাইরে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে পারে না। শুধু তাই নয় গ্রামের মেয়েরাও বাইরে শিক্ষার জন্য যেতে পারে না, যার কারণে বাল্যবিবাহ, অকাল ঝড়ে পড়া, মাধ্যমিকের গন্ডি পেরুতে না পেরুতেই বাবা মায়ের সঙ্গে কৃষি কাজের হাল ধরা এখানে স্বাভাবিক ব্যাপার। যে কারণে গাইবান্ধায় শিক্ষার হার ৫৪.৩%। তাই অকাল ঝড়ে পড়া রোধ, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সুবিধার্থে এবং সুন্দর ও সুশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য গাইবান্ধার মানুষের আবেদন, গাইবান্ধায় যেন অচিরেই একটা পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আবির হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন