বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কেক-ড্রেস বানিয়ে গিনেসে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন তরুণী, পরনে দুধ-সাদা বিয়ের গাউন। তারপরেই দেখা গেল ছুরি হাতে এগিয়ে আসছেন কয়েকজন। হবু কনের কাছে এসে ছুরি দিয়ে তার পোশাক কেটে নিতে শুরু করলেন তারা। কিন্তু পোশাক কই, এ যে কেক! রীতিমতো খাওয়াও যায়!
হ্যাঁ, গাউনের মত দেখতে হলেও আদতে তা একটি বিশালাকার কেক! হিসেব মতো, এ মুহ‚র্তে এটিই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পরিধানযোগ্য কেক-ড্রেস যা বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন সুইজারল্যান্ডের বেকার নাতাশা কলিন কিম ফা লি ফকাস।
গত ১৫ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে কেক-ড্রেসটি প্রদর্শন করেন তিনি। সেটির ওজন ১৩১.১৫ কিলোগ্রাম, যা হুবহু সাদা বিয়ের গাউনের মতো দেখতে। এমনকি, নাতাশা সেটি পরেওছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে কেক-ড্রেস পরা নাতাশার ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি কাঠের পাঠাতনের ওপর দাঁড় করানো রয়েছে ড্রেসটির কোমর-থেকে পায়ের অংশটুকু। তার ভেতর থেকে হাসিমুখে বেরোতে দেখা যায় নাতাশাকে। ১৩০ কেজিরও বেশি ওজনের কেকটি গায়ে গলিয়ে হাঁটতেও দেখা যায় তাঁকে। কিছুক্ষণ পরেই সম্পূর্ণ জামাটি পরা অবস্থায় দেখা যায় তরুণী বেকারকে। কয়েকজন এসে সেই অবস্থাতেই কেকটি কাটতে শুরু করেন।
জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের থুনে ‘সুইটিকেকস’ নামে একটি বেকারি রয়েছে নাতাশার। সংস্থাটি ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজড কেক তৈরি করে দেয়। গিনেস বুকে নাম তোলার জন্যই পরিধানযোগ্য কেক-ড্রেসটি বানিয়েছিলেন নাতাশা। সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ারের ফ্যাশন শো-এর ফিনালেতে প্রদর্শন করা হয় অভিনব কেকটি।
প্রায় ১৪ লাখ মানুষ দেখে ফেলেছেন নাতাশার তৈরি কেকটির ভিডিও। স্বভাবতই কেক বানানোর ক্ষেত্রে নাতাশার প্রতিভা এবং সৃজনশীলতায় মুগ্ধ নেটিজেনরা। অনেকেই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না এটি সত্যিই একটি কেক। একজন লিখেছেন, ‘কেকটা কই? উনি ওটা পরে আছেন! ‘দেখে খুশি হলাম যে, তিনি জামাটা গায়ে গলিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, অনেকে তো ওটা ওঠাতেই পারবে না,’ বিশালবপু কেক দেখে মন্তব্য অন্য একজনের। সূত্র : দ্য ওয়াল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন