সউদী আরব এবং চেক প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যান্য দেশের সাথে কাবুলের কূটনৈতিক সম্পর্কে এটাকে যথেষ্ট ধাক্কা হিসাবে দেখা হচ্ছে বলে টোলো নিউজের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এএনআই। উপরন্তু, প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সউদী আরবের এটি করার একটি বড় কারণ হল আফগানিস্তান জুড়ে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞা। অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি নিরাপত্তা উদ্বেগ যা তাদের ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অবদান রেখেছে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন নিউজ১৮-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল যা সউদী আরবকে কাবুলে তার দূতাবাস বন্ধ করতে বাধ্য করে। কারণ সেখানে কিছু মহিলা কর্মচারী কাজ করছিলেন। তবে, তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গত সোমবার জোর দিয়ে বলেন যে, কিছু সউদী কূটনীতিক ‘এক ধরনের প্রশিক্ষণ’-এর জন্য রওনা হয়েছেন এবং ফিরে আসবেন।
এদিকে, রয়টার্সের একটি কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদন এবং বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য দু’জন বলেছে যে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলার উচ্চতর ঝুঁকির সতর্কতার মধ্যে গত সপ্তাহে সউদী আরবের কূটনীতিকরা আকাশপথে চলে গেছে এবং পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছে। ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে যাদের মধ্যে রয়েছে, চীন, রাশিয়া, তুর্কিয়ে, পাকিস্তান এবং ইরান।
এর আগে, চেক সরকারও ঘোষণা করেছিল যে, তারা কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে, আর অন্য দেশগুলো তাদের অফিস পাকিস্তান এবং কাতার থেকে চালায়। কতজন সউদী কূটনীতিক আফগানিস্তান ছেড়েছেন বা কতদিন তারা কাবুলের বাইরে ছিলেন তাও তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। সূত্র : ডব্লিউআইওএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন