শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তুরস্ক-সিরিয়ার জন্য কাঁদল মিরপুরও

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিপিএলে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও খুলনা টাইগার্স। দুই দলের টসের পর খেলা শুরুর আগে এক মিনিট দাঁড়িয়ে যান ক্রিকেটাররা। তাতে অংশ নেন ম্যাচ অফিসিয়াল, গ্যালারিতে থাকা দর্শক ও প্রেস বক্সের সাংবাদিকরাও। স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৯ হাজারেরও বেশি। আহত বহু, বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত। দেশ দুটির মানবিক বিপর্যয়ে প্রার্থনা জানাতেই গতকাল মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে আয়োজন করা হয় এই নিরবতার। যখন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে গ্যালারিতে থাকা দর্শক এমনকি সায়বাদিকদের চোখেন কোনেও দেখা যায় অশ্রুর রেখা।
গত সোমবার ভোরে তুরস্কের ঘুমন্ত গাজিয়ান্তেপ শহরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভয়াল মাত্রার কম্পনের প্রভাব পড়ে পার্শ্ববর্তী সিরিয়া, জর্ডান ও অন্য দেশেও। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুরস্কেই বেশি। ধসে পড়ে কয়েক হাজার ভবন। এখন পর্যন্ত প্রায় তুরস্ক ও সিরিয়া মিলিয়ে ৯ হাজার মানুষের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তুরস্ক ও সিরিয়ার ভয়াবহ এই সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে ৫০টির বেশি দেশ। উদ্ধার কাজে যুক্ত হতে ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে এসব দেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশও দুটি দল পাঠিয়েছে এরমধ্যে।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। কেবল তুরস্কেই ধসে পড়েছে ৬ হাজার ভবন। ধারণা করা হচ্ছে ধসে পড়া স্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষের মারা গেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটকে পড়া ব্যক্তিদের আত্মীয়রা ধ্বংসস্তূপের পাশে অপেক্ষা করছেন। তাদের আশা, স্বজনদের হয়তো জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে উদ্ধার কাজ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে তুরস্ক ও সিরিয়া। তুরস্কে দেখা দিয়েছে যানবাহনের অভাব, সিরিয়ায় জ্বালানি সংকট। তুরস্ক অঞ্চলে এমন ভয়াবহ মাত্রার ভূমিকম্প এর আগে হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ১৭ অগাস্ট। সেবার মারামারা অঞ্চলে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন