ক্ষমতা নেওয়ার ১৮ মাস পর মলদোভা সরকার পদত্যাগ করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার তিনি পদত্যাগ করেন। ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাব এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন মলদোভার পশ্চিমা-পন্থি সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া গাবরিলিতার মলদোভার প্রেসিডেন্ট মায়া সানদুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়। প্রেসিডেন্ট তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। মলদোভার আকাশসীমায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ওড়ার খবরের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। নাতালিয়া গাবরিলিতার জায়গায় নতুন নিয়োগ পেয়েছেন তার সহযোগী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দোরিন রেচানকে।
নাটালিয়া বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে এতটা সংকটে পড়তে হবে কেউ ভাবেনি। রাশিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, ‘আগ্রাসন শুরুর পরই আমাদের জ্বালানি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।’
নতুন সরকার তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেবে বলে জানা গেছে। একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে রেচান এমনটাই জানিয়েছেন। তিনটি বিষয়ের মধ্যে থাকবে, আইন-শৃঙখলা, নতুন জীবন ও অর্থনীতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা।
মলদোভার বিচ্ছিন্নতাবাদী ট্রান্সদিনিসত্রিয়ায় অঞ্চলে রাশিয়ার সেনা অবস্থান করছে। মলদোভার ইইউ’য়ে যোগদানের সম্ভাবনায় রাশিয়া নাখোশ। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মলদোভার যোগদানের চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যাবেন।
রাশিয়ার গ্যাসের ওপর শতভাগ নির্ভরশীল ছিল মলদোভা। ইউক্রেন আগ্রসানের পর রাশিয়া মলদোভায় গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এছাড়া উচ্চ জ্বালানিমূল্যের কারণে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন