স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জয় বাংলা বলুক এটাই আমরা চাই। বঙ্গবন্ধু আমাদের সবার, জয় বাংলা আমাদের সবার। শুধু আমাদের দলের (আওয়ামী লীগ) নয়। তিনি বলেন, এটা বলতে দ্বিধা নেই; এই দুটি নাম যে আমরা বাঁচিয়ে রেখেছি। ইতিহাস তার সঠিক জায়গায় নিয়ে এসেছে এই কৃতিত্বটুকু দিতে হবে। অনেকেই অকৃজ্ঞতাবোধ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিজয়ের ৪৫ বছর উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে দীপু মণি বলেন, স্বাধীনতাটা অর্থবহ হউক তারা তা চায়নি। সেই জন্যই ’৭৫ সালের পর জয় বাংলা হয়ে যায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ঠিক পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে। বেতার বাংলা হয়ে যায় রেডিও পাকিস্তানের আদলে। এমনিভাবে বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ হয়ে যায়, জয় বাংলা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আজকে অনেকেই ধুয়া তোলেন, জয় বাংলাকে আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে ফেলেছে। এটা সত্যি। আওয়ামী লীগের পরিবারে সদস্যরা জয় বাংলা কথাটা বলেন। এর বাইরেও অনেকে বলেন। কিন্তু একটি সময় ছিল যখন জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল। সেই জয় বাংলা দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামী লীগই বুকের রক্ত দিয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ বুকের রক্ত দিয়েছে।
এ সময় দিপু মণি বলেন, বিএনপির আমলে ৫ বার দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নয়। বিএনপি সরকারের শাসন আমলে। হবেই তো, যাদের কাছে স্বাধীনতাই কাম্য ছিল না। তারাতো চাইবেই দেশকে পিছিয়ে দিতে। যারা সব সময় দেশকে চেয়েছে পাকিস্তানের মতো বানাতে।
দেশের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক মোড়লদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরু হয়েছে। নাগরিক সেবা আজকে জনগণের দোরগোড়ায়ই নয়, হাতে মুঠোয় পৌঁছে দেয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে। নারী উন্নয়নসহ বিদ্যুৎ, যাতায়াত ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অবদানের কথা তুলে ধরেন দীপু মণি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, তরুণদের স্বপ্নপূরণের পথে প্রথম বাধা মাদক। আমাদের সকলকে প্রথমে এ মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তরুণদের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে দেন, তখন অন্যদিকে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা তরুণদের জঙ্গিবাদের ভাবধারার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশের সব সেক্টরে নারীদের বিচরণ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে নারী উন্নয়ন নিয়ে কাজ শুরু করেন।
আয়োজক সংগঠনের পরিচালক ডা. মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় সংগঠনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. আবু ইউসুফ ফকিরের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদসহ সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন