ভারতের কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব স্বীকার করেছেন যে, ২০১৯ থেকে ২১’ এ তিন বছরে দেশে এক কোটি ১২ লাখ দৈনিক দিনমজুর আত্মঘাতী হয়েছেন। লোকসভায় এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর পরিসংখ্যান থেকে তিনি এ তথ্য জানান। এ পরিসংখ্যান ভয় ধরানো বলেই মনে করছেন সমাজতত্ত্ববিদরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকে প্রবল মন্দা দেখা দেয় ভারতে। পরবর্তীকালে কোভিডের প্রকোপে কাজ হারান অসংখ্য মানুষ। কোভিড পরবর্তীকালে তারা অনেকেই আগের পরিস্থিতিতে ফিরতে পারেননি। এই অবস্থায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অসংখ্য মানুষ। ভূপেন্দর আরও জানিয়েছেন, এই সময়পর্বেই ৬৬,৯১২ গৃহবধূ, ৫৩,৬৬১ স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি, ৪৩,৪২০ জন বেতনভুক্ত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
এছাড়াও ২০১৯ থেকে ২১’-এর মধ্যে ৩৫,৯৫০ জন শিক্ষার্থী, কৃষিক্ষেত্রের যুক্ত ৩১,৮৩৯ জন শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন। যদিও আত্মহত্যা সংক্রান্ত মর্মান্তিক পরিসংখ্যান দেয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, অসংগঠিত শ্রমিক সামাজিক নিরাপত্তা আইন ২০০৮ অনুসারে সরকার অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মাতৃত্ব সুবিধা, বার্ধক্য সুরক্ষা ইত্যাদি।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনায় সুবিধা পেয়ে থাকেন দিন মজুররা। জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার সুরক্ষা পেয়ে থাকেন ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি ব্যক্তিরা। কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে এককালীন ২ লাখ টাকা সাহায্য পাবে পরিবার। এর জন্য বছরে মাত্র ৪৩৬ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয় ব্যাংক বা পোস্ট অফিস। প্রশ্ন উঠছে, সরকার পাশে দাঁড়ালে এত মানুষ আত্মঘাতী হবেন কেন? সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন