পাকিস্তান একটি ইসলামিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তী শাসকরা তাদের স্বার্থের পিছনে ছুটেছে এবং আইনের শাসনকে প্রাধান্য দেয়নি। অথচ, এ আইনের শাসন দেশের গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির গ্যারান্টি দেয়। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান সোমবার এ কথা বলেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের সংবিধানে বিধানসভা ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন, তবে সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য তহবিলের অভাবের মতো খোঁড়া অজুহাত তৈরি করছে - যা সংবিধানের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে।
সোমবার তার জামান পার্কের বাসভবন থেকে একটি টেলিভিশন ভাষণে বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় পণ্ডিত এবং ছাত্রদের সম্বোধন করে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, তিনি রাশিয়া গিয়েছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারতে মতো পাকিস্তানকেও সস্তায় গম এবং জ্বালানী সরবরাহ করতে রাজি করিয়েছিলেন।
দেশে ফিরে তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান তাকে ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার নিন্দা করতে বলেছিলেন। ‘আমি সাবেক সেনাপ্রধানকে বলেছিলাম যে, ভারত যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কৌশলগত মিত্র, নিরপেক্ষ রয়েছে এবং পাকিস্তানেরও দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে জড়ানো উচিত নয়,’ ইমরান খান বলেছিলেন, ‘তবে আমি বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করি সাবেক সেনাপ্রধান ‘যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে’ একটি নিরাপত্তা সেমিনারে রাশিয়ার নিন্দা করেছিলেন।
‘রাশিয়ার সমর্থনে, ভারত তার মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতির হার ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে৷
পিটিআই চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন যে অতীতের শাসকরা শুধুমাত্র জাতীয় সম্পদ লুটপাট এবং তারপর তাদের লুট রক্ষার জন্য এনআরও পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে এমন কোনো ব্যবস্থাকে বিরাজ করতে দেয়া হয়নি যা ক্ষমতাবানদের আইনের আওতায় আনতে পারে এবং দুর্বলদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে পারে।’ সূত্র: ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন