বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গভবনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় ফার্স্ট লেডি বেগম রাশিদা খানম, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মো. শাহাবুদ্দিন, তার সহধর্মিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে পৌছাঁলে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানান। এ সময় তারা পরস্পর কুশল বিনিময় করেন ও স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
এর আগে গত ১২ ফেব্রæয়ারি দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন দুদকের সাবেক কমিশনার মো.সাহাবুদ্দিন। পরে বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে ফোন করে অভিনন্দন জানান বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাবেক জেলা দায়রা জজ ও সাবেক দুদকের কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। গত রোববার তার মনোনয়নপত্র ইসিতে গিয়ে জমা দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নতুন কাউকে শপথ নিতে হবে। আইনে দুই মেয়াদের যে সীমা বেঁধে দেওয়া আছে, সে অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মো. আবদুল হামিদের দুই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। তাই তিনি আর এই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।
পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু জন্ম ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) গ্রামে। ছাত্রজীবন থেকেই শুরু রাজনীতির পথচলা। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ছাত্ররাজনীতি বা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেই যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ছিলেন পাবনায় অন্যতম। পরে যুবলীগ, বাকশালে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলে তার প্রতিবাদ জানান। সে সময় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কয়েক বছর জেল খাটেন সাহাবুদ্দিন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রাজনীতিতে কিছুটা স্থিমিত হয়ে পড়েন সাহাবুদ্দিন। সে সময় তিনি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। জেলা জজ হিসেবে চাকরি শুরু করে বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন