চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পেত্র পাভেলের বিজয় দেশটির সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর ছায়া ফেলেছে। কারণ নতুন প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেইন ও পশ্চিমা ঘেঁষা মনে করা হয়। একইসঙ্গে সরাসরি তাইওয়ানের পক্ষে অবস্থানকারী হিসেবে ধরা হয়, যে তাইওয়ানকে চীন নিজেদের বলে দাবি করে।
জিওপলিটিকা ডট ইনফো জানিয়েছে, প্রাক্তন জেনারেল ও উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) সামরিক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাভেল বলেছেন, রাজধানী প্রাগ ‘তাইওয়ানের সঙ্গে সব বিষয়ে তার সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে চাইবে’।
পেত্র পাভেল তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন। তিনি বলেছেন, স্ব-শাসিত দ্বীপটির সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য চেক রিপাবলিক একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার’। তবে তাইওয়ানের প্রতি পাভেলের আশ্বাসে ইতোমধ্যে ক্ষুব্ধ চীন। বেইজিং একে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শেষ হলে ইউক্রেইন পশ্চিমা জোটের অংশ হতে ‘নৈতিকভাবে কার্যত প্রস্তুত’ থাকতে পারে, পাভেলের এমন মন্তব্যের পর চীন আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে জিওপলিটিকা জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত পাভেল বলেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ হতে দেওয়া উচিত। যদিও ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আলোচনার বিরোধিতা করে আসছে চীন। গত বছরের মার্চে ইউক্রেন সংঘাতের কয়েকদিন পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে চীন জানায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ হতে দিলে পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনাসহ সমূহ ফলাফলের মুখোমুখি হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
চীন হুঁশিয়ারি করে বলেছিল, ইউক্রেনকে সামরিক জোটে অনুমতি দিলে সংঘাত আরও বাড়তে পারে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটি মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির ইঙ্গিত হতে পারে।
চীনের সঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্রের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তাইওয়ানের সঙ্গে শুধু অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে পাভেলের ফোনালাপ কয়েক দশকের কূটনৈতিক চর্চায় অভূতপূর্ব অবনতি হয়েছে।
মন্তব্য করুন