শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইবি ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ

হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনলেন দুই আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ছাত্রীলীগ নেত্রীর মারধর এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনা হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনা হয়েছে। গতকাল বুধবার অ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসীন এবং অ্যাডভোকেট আজগর হোসেন তুহিন আদালতের নজরে আনেন। পরে বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি আবেদন আকারে নিয়ে আসতে বলেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেছে অভিযুক্তরা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় র‌্যাগিং করে তাকে হল থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু হল প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটি সম্ভব হয়নি।

পরদিন রোববার ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭-৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয়। মুখ চেপে ধরে গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাকে ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করতে বলেন সানজিদা। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন অভিযুক্তরা। জামা না খুললে পুনরায় মারতে থাকেন তাকে। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেয়া হয় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমাকে গত রোববার গণরুমে ডেকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। শরীর এখনও ব্যাথা করছে। জীবন বাঁচাতে পরদিন সোমবার ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে আসি। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

নির্যাতনকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী বলেন, সে আমার নাম করে আমাকেই ভয় দেখাচ্ছিলো। এজন্য তাকে ‘বোঝানো’ হয়েছে। তবে তার সঙ্গে আমরা এমন ধরণের কোনো ঘটনা ঘটাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনা যদি সত্য হয় এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে আমরা প্রশাসনের কাছে তার শাস্তির দাবি জানাব। সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Ali Azgor ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৯ এএম says : 0
এই ডাইনীকে যে বিয়ে করবে সে তো বরবাদ ভাই,বরকে ন্যাংটা করে ভিডিও করে ব্লাকমেইল করবে! ছি......!!
Total Reply(0)
Ayub Hossain ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৮ এএম says : 0
ন্যাক্কারজনক ঘটনা। নিন্দা জানাই।
Total Reply(0)
Ashraful Islam ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৮ এএম says : 0
সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইডেনের মতো কলেজের একই অবস্থা। মেয়েরা ভর্তি হলে নঃঃষ্ট করার দায়িত্ব এদের
Total Reply(0)
Abulbasher Ripon ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৭ এএম says : 0
কোন লাভ হবে না সেখানেও ....বসে আছে
Total Reply(0)
বিদ্রোহী কবি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৯ এএম says : 0
এদের বাপ মাকে আগে মারা উচিত, কেন উনারা এরকম কুলাঙ্গার জন্ম দিয়েছে।। অবশ্য জানোয়ারের ঘরে জানোয়ার ই জন্ম নেয়
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন