বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শেরপুরে নৃ-জনগোষ্ঠির মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:৪৫ পিএম

নৃ-জনগাষ্ঠির মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়নের দাবীতে শেরপুরে মানব বন্ধন করা হয়েছে।

১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শেরপুর শহরের চকবাজার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। আন্তর্জাতিক আদিবাসী ভাষা দিবস উপলক্ষে নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এবং সমমনা বিভিন্ন সংগঠন যৌথভাবে এ মানববন্ধন কমসূচির আয়োজন করে।
এতে গারো, কোচ, হাজং, বর্মন, বানাই, ডালু, হদি সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সহ শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিক ও সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে ৫ দফা দাবী সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। স্মারকলিপিতে সকল নৃ-জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আদিবাসী শিক্ষক সংকট দূরীকরণ এবং জেলায় নৃ-জনগোষ্ঠির একটি কালচারাল একাডেমী স্থাপনের দাবী জানানো হয়। মানববন্ধন চলাকালে শ্রীবরদী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমার সভাপতিত্বে শিক্ষাবিদ শিব শংকর কারুয়া, কবি জ্যোতি পোদ্দার, নারী নেত্রী আইরীন পারভীন, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, জনউদ্যোগ আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, দেশে বসবাসকারী সকল আদিবাসীদের ভাষা রক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠির ভাষা প্রচলিত আছে কিন্তু নিজস্ব বর্ণমালা নেই, তাদের বর্ণমালা উদ্ধার ও লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠির নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। আদিবাসী এলাকায় মাতৃভাষায় পাঠদানের উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
আদিবাসী নেতা প্রাঞ্জল এম. সাংমা বলেন, বাঙালী ছাড়াও রয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমতল ও পাহাড় মিলিয়ে প্রায় ৪৫ টিরও অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। দেশে বসবাসরত প্রতিটি আদিবাসী জাতিসত্ত¡ার নিজস্ব ভাষা থাকলেও তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ভাষারই নেই নিজস্ব বর্ণমালা। লিখিত রূপ না থাকায় তাদের ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনাই হচ্ছে কোনো জনগোষ্ঠীর ভাষা হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। ভাষা আন্দোলনের চেতনা তখনই সার্থক হবে যখন প্রতিটি জনগোষ্ঠী তার নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারবে, মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভ করতে পারবে, শিল্প-সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারবে। শিক্ষার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে নিজস্ব ভাষার বিষয়টি যুক্ত। মাতৃভাষা মানুষের আত্মবিকাশের পথ সম্প্রসারিত করে। একজন আধুনিক মানুষকে আরো দক্ষ ও যোগ্য করে তোলে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন