শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

প্রশ্ন : আমরা জানি সূর্যোদয় থেকে ৩০ মিনিট নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর দেখা গেল সকাল হয়ে গেছে। তাহলে আমি নামাজ পড়তে পারবো কি না? উক্ত নামাজ কি কাজা হবে ?

| প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ এএম

উত্তর : সূর্যোদয় থেকে ৩০ মিনিট কথাটি ঠিক নয়। কথাটি হচ্ছে, ঠিক সূর্যোদয়ের মুহূর্ত। এসময় নামাজ পড়া নিষেধ। যার সময় ১৬-১৭ মিনিট হয়ে থাকে। এর আগে নামাজ পড়তে পারেন। এটি সঠিক সময়। সূর্যোদয়ের মুহূর্তে পড়বেন না। এরপর ফজর পড়বেন কাযা হিসেবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে ঘুমে বিভোর থেকে নামাজের সময় পার হয়ে যাওয়া মানুষের অনুতাপের নামাজ এ সময়ও মূল ওয়াক্তের নামাজের মত কবুল করতে পারেন। হাদীসে এমন ইশারাও আছে।

প্রশ্ন : প্রস্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে?

উত্তর : দু’য়েক ফোঁটা বলতে আমরা কি বুঝবো? পরিমাণটা বলে রাখি, দু’য়েক ফোঁটা পেশাব বের হলে অজু ভেঙ্গে যায়। অজু করতে হবে। এবার প্রশ্ন আসে কতটুকু পেশাবে কাপড় নাপাক হয়? একটি সিকি পয়সা বা এরচেয়ে কম জায়গা হলে কোনোরকম নামাজ হয়ে যাবে। এরবেশি হলে নাপাকির জায়গাটি ধুতে হবে। এক ফোঁটা পেশাব সম্ভবত সিকি কয়েনের পরিমাণের মধ্যে থাকে। কিন্তু দু’য়েক ফোঁটা থাকে না। এসব খুব সাবধানে বিবেচনা করে নিবেন। মাসআলাটি সতর্কতার আর সিদ্ধান্ত বিশ্বস্ত বিবেকের।

প্রশ্ন : আমার আব্বা গত কয়েক দিন আগে মারা গেছেন, এক দোকানদার উনার কাছে কিছু টাকা পেত, জীবিত অবস্থায় টাকা দিয়ে যেতে পারেন নি, আমি সস্তান হিসাবে কি ওই টাকা গুলো দিয়ে দিলে আমার আব্বা ঋণমুক্ত হবে? ওই দোকানদার এখন টাকাগুলো নিতে চাচ্ছেনা, সে বলতেছে আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি টাকা দেওয়া লাগবে না, আশা করি আমার প্রশ্নের জবাব দিবেন।

উত্তর : সন্তান হিসেবে আপনার উচিত পিতার পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া। এ বিষয়ে আপনার আন্তরিক চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। এখন পাওনাদার যদি নিজের থেকে আপনার আব্বাকে ক্ষমা করে দেন, পাওনা টাকা না নেন, তাহলে আপনার আব্বার কোনো দায় থাকবে না। আপনিও তার এ ইহসান ও সৌজন্য মেনে নিন। এ নিয়ে জোর জবরদস্তি করা বা দিতেই হবে বলে মনে করা বাড়াবাড়ি। যদি কোনো মন্দ দিক এখানে লুকিয়ে না থাকে, তাহলে আপনি এ টাকা না দিলেও চলবে। যিনি দাবী ছেড়ে দিতে চান, তাকে দাবী ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ দিন।

প্রশ্ন : হযরত মুসা আ. এর জামানায় জুন্নত নামক এক পাগলকে নাকি আল্লাহ তায়ালা ৪১বার সালাম করেছিলেন কিন্তু এ পাগলটি একবারও আল্লাহর সালাম গ্রহণ করেনি। এ তথ্যটি কি সঠিক? কবি নূর মোহাম্মদ রচিত এ বএয় একথা আমরা পেয়েছি।

উত্তর : পবিত্র কোরআন ও হাদীসে এ ধরনের কোনো ঘটনার উল্লেখ নেই। জুন্নত নামক কোনো ব্যক্তির সন্ধান নির্ভরযোগ্য কোনো উৎস গ্রন্থেও নেই। সুতরাং এসব কাহিনী বিশ্বাস করার কোনো বৈধতা বা যৌক্তিকতা নেই। বাংলাভাষায় রচিত কোনো বইয়ে এ কথা লিখা থাকলেও এর মূল কোনো উদ্ধৃতি এমন দেয়া হয় না, যার ভিত্তিতে এর সত্যাসত্য যাচাই করা সম্ভব হতে পারে। অতএব কোনো বাজারী পুস্তক বা মজলিসি গল্পে প্রাপ্ত কল্পকাহিনী কিংবা আষাঢ়ে গল্প বিশ্বাস না করাই ঈমানদার মানুষের জন্য উত্তম। আশা করি এ দেশের প্রতিটি দীনদার মুসলামান ইসলামের সঠিক জ্ঞান কেবল কোরআন-সুন্নাহর উৎস থেকে হাক্কানী আলেমগণের ভাষ্য অনুসারেই গ্রহণ করতে ব্রতী হবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন