চরমোনাই দরবার শরিফের ফাল্গুন মাসের বার্ষিক মাহফিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর ছাহেব মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম দেশে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনার অভিযোগ করেছেন। ইসলামী শিক্ষাকে সিলেবাস থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এমন বহু বিষয় আছে যা এদেশের মানুষের বোধ-বিশ্বাস, সামাজিক পুঁজির সাথে সাংঘর্ষিক বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিজ্ঞানের নামে বিজ্ঞান অসমর্থিত বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অভিযোগ করে দেশের সচেতন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর এ নীল নকশা ও চক্রান্ত রুখে দেবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার ঐতিহাসিক চরমোনাই দরবার শরিফের ফাল্গুনের বার্ষিক মাহফিলের ৩য় দিন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর ছাহেব চরমোনাই বক্তব্য রাখছিলেন।
ছাত্র-গণজমায়েতে পীর ছাহেব চরমোনাই বলেন, ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সারাদেশে আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি চর্চা করছে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয় রোধে ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম প্রশংসনীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দেশময় পরিশুদ্ধ নেতৃত্ব গড়তে শিক্ষার্থীদের ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আদর্শিক জীবন গঠনের আহŸান জানান তিনি।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে ছাত্র গণজমায়েতে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য হযরত মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, জি এম রুহুল আমীন, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, নুরুল করীম আকরাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল-আমিন বক্তব্য রাখেন ।
বক্তারা বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি, বইয়ের বিভিন্ন গল্পের উদাহরণে যেসব চরিত্র ব্যবহার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশের নামে দেশীয় ছাপ নেই বরং সুকৌশলে পাশ্চাত্য এবং ব্রাহ্মণ্যবাদী বিভিন্ন নাম ও প্রতীক ব্যবহার করে সাংস্কৃতিক অগ্রাসন চালানো হয়েছে। ভুলে ভরা পাঠ্যবই রচনার সাথে জড়িতদের ভিন্ন কোন রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে কিনা তা খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবী জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, এসব বই সংশোধন নয়, তা বাতিল করতে হবে এবং সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে নতুন করে বই রচনা করতে হবে।
গত বুধবার জোহর বাদ চরমোনাই দরবার শরিফে ফাল্গুন মাসের বার্ষিক এ মাহফিল আজ শনিবার সকাল ৮টায় পীর ছাহেবের বিদায়ী বয়ানের পরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে। মোনাজাতে দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হবে। বার্ষিক মাহফিলে সারাদেশ থেকে লাখো মুসল্লি অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন