পঞ্চগড়ে ইজিবাইক চুরির দায়ে মোশারফ হোসেন(৩১) ও জুয়েল হোসেন(২৮) কে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকালে আদালতে উপস্থিত করে শুনানি শেষে বিচারক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পঞ্চগড় সদর থানায় নেয়া হয়েছে।সোমবার তাদেরকে আদালতে প্রেরন করা হবে।বিষয়টি সদর থানার এস আই মো.সাহিদুর রহমান নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারী সলেমান আলী ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক নিয়ে রজলী বাজারে ভাড়ায় চালানোর জন্য বের হয়ে যায়।পথে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি কৌশলে জুসের মধ্যে চেতনানাশক ঔষুধ মিশিয়ে দেয়।সলেমান খেয়ে নেয় এবং অজ্ঞান হইলে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা তাহার ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চুরি করে পালিয়ে যায়।অটোচালক সলেমান এর অবস্থা খারাপ হইলে তাহাকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার ভাই আঃ রহমান সদর থানায় ১৬ ফেব্রুয়ারি এজাহার দায়ের করিলে অফিসার ইনচার্জ তদন্ত ভার এসআই মোঃ সাহিদুর রহমানের উপর অর্পন করেন।
পরে অজ্ঞানপাটিকে সনাক্ত করে বৃহস্পতিবার মোশারফ হোসেনকে বাজারের হিলটন বোর্ডিং থেকে আটক করে, তার তথ্যমতে, জগদল এলাকায় অভিযান করে জুয়েলকে আটক করে পুলিশ। একই সাথে মেসার্স সুজন অটো নামের এক দোকান থেকে চুরি যাওয়া ইজিবাইকের মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত মোশারফ হোসেন সাগর ঠাকুরগাঁও জেলার সালন্দর এলাকার উছামুদ্দিনের ছেলে।জুয়েল পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে। মেসার্স সুজন অটো এর বিষয়টি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু তাহের আবুর মাধ্যমে পুলিশের সাথে আপোষ করা হয়েছে, যা সুজনের মামাত ভাই আজিজ জানিয়েছেন।তবে টাকার বিনিময়ে সুজনের আপোষের বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাহিদুর রহমান বলেন,সুজনের বিষয়টি যাচাই বাছাই চলছে।
সুজনের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে আপোষ হয়েছে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞার জানা নাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন