শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনোদন প্রতিদিন

দেশে পাঠান মুক্তি পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্রÑঅনন্য মামুন

পরীক্ষামূলকভাবে দুই বছর উপমহাদেশীয় ভাষার সিনেমা আমদানির প্রস্তাব

ডিলান হাসান | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে কিনা তা খুব শিঘ্রই জানা যাবে। গত রবিবার চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্ল্যাটফর্ম সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির জন্য একটি প্রস্তাবনা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিদেশী (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র ২ (দুই) বছরের জন্য আমদানির সুযোগ থাকবে। বিদেশী (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি করার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি পাওয়ার পর প্রথম বছর ১০টি ও পরবর্তী বছর ৮টি চলচ্চিত্র আমদানি করতে পারবে। প্রতিবছর ৫২ সপ্তাহের মধ্যে ২০ সপ্তাহ আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে। ঈদ উল ফিতর, ঈদ উল আযহা ও দুর্গা পূজার সপ্তাহে কোনো বিদেশী চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না। এছাড়া আরও কিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়। গত রবিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি ও মুক্তি প্রসঙ্গে’ শিরোনামে প্রস্তাবনা পত্র তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। প্রস্তাবনা হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, শিল্পী সমিতির সাধারণ স¤পাদক নিপুণ আক্তার ও সদস্য রিয়াজ, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ, সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষে খোরশেদ আলম খসরু ও মোহাম্মদ হোসেন, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া এবং সম্মিলিত চলচ্চিত্রের পরিষদের সদস্য সচিব শাহ আলম কিরণ। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় কিছু শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্টসংখ্যক ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবাই একমত হয়েছেন, এজন্য তাদের অভিনন্দন। আমিও নির্দিষ্ট পরিমাণ হিন্দি ছবি আমদানির পক্ষে, অবাধ আমদানিতে আমাদের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতীতেও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার কাছে ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির দাবি উপস্থাপন করা হয়েছিল, পরে শিল্পী সমিতি আপত্তি জানিয়েছিল। সে কারণে বারবার বলে এসেছি, সব সংগঠন একমত হয়ে বললে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবো। এখন সেটি সম্ভব। প্রস্তাব অনুযায়ী, আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো, বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরেও আনতে হবে। অন্যদিকে, দেশে উপমহাদেশের সিনেমা আমদানির নীতিমালা ও সাফটা চুক্তি অনুযায়ী, আমদানির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। আমদানি নীতিমালায় বলা আছে, উপমহাদেশের শুধু বাংলা ভাষার সিনেমা আমদানি করা যাবে। সাফটা চুক্তিতে ভাষা সংক্রান্ত কোনো বিষয় নেই। এ ব্যাপারে পাঠান আমদানির উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্রযোজক অনন্য মামুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘পাঠান’ আমদানির জন্য আমার সাথে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা ইয়াশ রাজ-এর চুক্তি হয়েছে। চুক্তির পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সিনেমাটি আমদানির জন্য আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে অতি দ্রুত ‘পাঠান’ দেশে মুক্তি দিতে পারব। আমদানি নীতিমালায় উপমহাদেশের শুধুমাত্র বাংলা ভাষার সিনেমা আমদানির কথা বলা হয়েছে, এ বিষয়ে মামুন বলেন, এটা ঠিক। নীতিমালার ১৬ ধারার ‘ক’ এবং ‘খ’ উপধারায় এ কথা বলা হলেও ‘গ’ উপধারায় তা নেই। আমরা ‘গ’ ধারা অনুযায়ী আবেদন করেছি। সেখানে বলা আছে, আমাদের দেশে একটি সিনেমা যাবে, বিদেশী একটি সিনেমা আসবে। ফলে এক্ষেত্রে ‘পাঠান’ বা বিদেশী সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, আমি আশা করছি, শিঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে অনুমোদন পেয়ে যাব। এ ব্যাপারে আমি অনেকটাই নিশ্চিত। অনুমতি পাওয়ার সাথে সাথেই ‘পাঠান’ মুক্তি দেয়া হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘পাঠান’ মুক্তি দেয়া প্রসঙ্গে মামুন বলেন, আজ যদি অনুমোদন পাই তাহলে তা মুক্তি দেয়া কোনো ব্যাপার না। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ২৪ ঘন্টাই যথেষ্ট। আমাদের সে প্রস্তুতি নেয়া আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন