শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন নয়

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আগামি ২৭ মার্চ পর্যন্ত অভিযোগ গঠন করা যাবে না-মর্মে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের দায়ের করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা কেন বাতিল হবে না-মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে শ্রম মন্ত্রণালয়। লিভ টু আপিল গ্রহণ শেষে আগামি ২৭ মার্চ শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত। সেই পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা যাবে না-মর্মে আদেশ দেন।
এ তথ্য জানিয়েছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূসের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। শ্রমমন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সরকারক্ষের এই আইনজীবী জানান,
গত বছর ২৮ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা কেন বাতিল হবে না-এই মর্মে জারি করা রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত: ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতী শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন বিচারিক আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুর হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। এই তিন বিবাদীও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের পরিশোধ করা হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলাটি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন