সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশকে নিয়ে ভূরাজনৈতিক মেরুকরণ : এক দিকে ভারত চীন রাশিয়া : অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ^

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভারত এবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশকে নিয়ে বড় বড় শক্তিগুলোর মধ্যে জিও-পলিটিক্স বা ভূরাজনীতি বেশ কিছুদিন হলো শুরু হয়েছে। এই ভূরাজনীতির খেলায় এতদিন ভারতই ছিল প্রধান প্লেয়ার। সেই ৫২ বছর আগে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন ভূরাজনীতিতে ছিল তীক্ষè মেরুকরণ। তখন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতা করেছিল আমেরিকা এবং চীন। আর বাংলাদেশের পক্ষে প্রত্যক্ষ সমর্থন, এমনকি সামরিক সমর্থন নিয়ে এগিয়ে এসেছিল ভারত এবং সোভিয়েট ইউনিয়ন। সোভিয়েট ইউনিয়ন ভারতের মতো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ না করলেও আমেরিকার বিরুদ্ধে বুলওয়ার্ক হিসেবে পাহারা দিচ্ছিল। আর চীন সামরিক হস্তক্ষেপ ছাড়া সব রকম সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সরাসরি বিরোধিতা করে।

ভূরাজনীতি চিরদিন একরকম থাকে না। ’৯০ এর শুরুতে সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিকসহ সকল ক্ষেত্রে পরাশক্তির মর্যাদা হারায়। এই ১৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে রাশিয়া বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী হওয়ায় রাশিয়াই সোভিয়েট ইউনিয়নের উত্তরসূরি হয়। বাংলাদেশকে রাশিয়া সমর্থন দিতে থাকলেও এখানে প্রধান প্লেয়ার ছিল ভারত। চীন তখনও অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে আজকের মতো বলতে গেলে দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল না।

সময়ের সাথে সাথে দেশীয় এবং বৈশি^ক রাজনীতিরও পরিবর্তন ঘটে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি কম ঘটেছে। এর মধ্যে চীন দ্বিতীয় বিশ^শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বড় হলে যা হয়, চীনের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। সেও তাদের প্রভাব বলয় বিস্তার করতে শুরু করেছে। ২০১৫ সালের পর দেখা যায় যে, রাশিয়াও তার অর্থনৈতিক শক্তি আগের মতো না হলেও অনেকটাই পুনরুদ্ধার করেছে। রাশিয়া তার নব উত্থিত শক্তি দেখায় সিরিয়ায়। সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারকে আমেরিকা প্রায় হটিয়েই দিচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পর রুশ জঙ্গি বিমান বাশার আল আসাদের পক্ষে সিরিয়ায় সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে। ফলে বাশার আল আসাদ আজও সিরিয়ার ক্ষমতায় টিকে আছেন। রূপপুর পারমাণবিক চুল্লিসহ দুই একটি প্রকল্পে অর্থনৈতিক সাহায্য ছাড়া রাশিয়া বাংলাদেশে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেনি। রাশিয়া বরং বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যকে মেনে নেয়।

ওই যে বলেছি, বিশ^ রাজনীতির পরিবর্তন ঘটেছে। পরিবর্তনের সেই সূত্র ধরে আমেরিকা তার বিশ^ রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চ পশ্চিম এশিয়া অর্থাৎ মুসলিম প্রধান মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীন সাগর বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে স্থানান্তর করে। এরমধ্যে সে চীনকে বিশ^ রাজনীতিতে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রহণ করে। চীনকে মোকাবেলার স্ট্র্যাটেজিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়াকে ঠিক ততখানি গুরুত্ব দেয়নি। বাংলাদেশ যুদ্ধের পর পাকিস্তান দুর্বল হয়ে গেলে ভারত এই এলাকায় আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
আমেরিকা তার পররাষ্ট্রনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সূচিত করে। চীনকে প্রধান রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে বিবেচনা করায় এই অঞ্চলে ভারতকে তার প্রয়োজন হয়। ফলে পাক-মার্কিন বন্ধুত্ব বলতে গেলে শেষ হয়ে যায় এবং আমেরিকার ভারত তোষণ নীতি শুরু হয়। ভারত এই সময় খুব সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। এক দিকে রাশিয়ার সমর্থন, অন্যদিকে আমেরিকার সমর্থন। আমেরিকার সমর্থন লাভের ফলে আমেরিকাপন্থী ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশও ভারতের বন্ধু হয়। আমেরিকাও বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের ওপর নির্ভরশীল হয়।

বাংলাদেশে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে বিরাট কারচুপি হয়, সেটি ভারত সমর্থন করায় আমেরিকাও মৃদু প্রতিবাদ ছাড়া আর কিছু করেনি। এর মধ্যে চীনের বাংলাদেশ নীতিতে বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়। চীন বাংলাদেশের সাথে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক সাহায্যের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে।

॥দুই॥
২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ভারত সরকারের যত চাহিদা ছিল সব উজাড় করে দিয়ে পূরণ করে। বিনিময়ে বাংলাদেশ বলতে গেলে কিছুই পায়নি। এমনকি তিস্তার পানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুও বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় এখন আর স্থান পায় না। স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তায় দ্রুত ধ্বস নামতে থাকে। তার সাথে যুক্ত হয় দ্রব্যমূল্যের ৩ থেকে ৪ গুণ বৃদ্ধি। জনসাধারণের কাছে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠ রোধ করা হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপিকে মিছিল মিটিং কিছুই করতে দেওয়া হয় না। আওয়ামী লীগ তার বিভিন্ন চ্যানেলে খবর পায় যে, দেশের মধ্যে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং অতিরিক্ত ভারত প্রেমের কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসেছে।

আওয়ামী লীগ ৭৫ বছরের পুরাতন একটি অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল। জনপ্রিয়তা দ্রুত ক্ষয়িষ্ণু দেখে আওয়ামী লীগ বাজারে একটি কথা ছড়িয়ে দেয়। সূক্ষ্মভাবে কিন্তু ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয় যে, ভারতের সাথে আওয়ামী সরকারের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ, এই সরকার চীনের দিকে হেলে পড়ছে। সরকারের এই সূক্ষ্ম প্রচারণায় অনেক নিরপেক্ষ লোকও কিছুটা বিশ^াস করতে শুরু করেন। কিন্তু সরকারের এই কৌশল বেশিদিন কাজ দেয়নি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে যারা গভীর গবেষণা করেছেন তারা দেখতে পান যে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে চিড় ধরার মতো এমন কিছু বাংলাদেশ করেনি, যদিও ভারত এ ধরনের বেশ কয়েকটি কাজ করেছে।

আসলে আমেরিকায় বাইডেন সরকার আসার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। তারা গাছেরটাও খেতো, আবার তলারটাও কুড়াতো। অর্থাৎ একই সাথে ভারত, চীন এবং আমেরিকার সাথে সমান তালে দোস্তি করে যাচ্ছিল। কিন্তু জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। বাইডেন প্রশাসনের কাছে তার ফরেন পলিসির কর্নার স্টোন একদিকে হয় চীনকে চারদিক দিয়ে ঘেরাও করা। অন্যদিকে অন্যান্য রাষ্ট্রের ব্যাপারে অবাধ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, দুর্নীতি রোধ এবং মানবাধিকার সমুন্নত করা তার পররাষ্ট্র নীতির আরেক স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মার্কিন পলিসির ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন ঘটে। বারাক ওবামা এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশকে ভারতের চোখ দিয়ে দেখে আসছিল। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখার নীতি পরিত্যাগ করে। অতঃপর তারা বাংলাদেশের সাথে সরাসরি এনগেজমেন্ট শুরু করে। এই যে বিগত ৬ মাসে বাংলাদেশে অনেক মার্কিন হোমরা-চোমরা আসা যাওয়া করছেন, সেটি আমেরিকার নতুন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে।

বাংলাদেশের ব্যাপারে আমেরিকার অবস্থান পরিবর্তনের কারণ হলো, ভারত মহাসাগরের প্রবেশমুখ বঙ্গপোসাগরে আমেরিকার পা রাখা। বঙ্গপোসাগরের একটি অংশজুড়ে আছে ভারত। অপর একটি অংশ মিয়ানমার। মিয়ানমার সরাসরি চীনের পক্ষপুটে আশ্রিত। তৃতীয় অংশটি বাংলাদেশের। সুতরাং, এই জায়গাটিতে আমেরিকার পা রাখতেই হবে। সেজন্য ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর থেকে আমেরিকা যা করেনি, গত দুই বছর থেকে সেটাই করা শুরু করেছে। দুই বছর আগে থেকে আমেরিকার কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অসাধারণ বেড়ে গেছে। ওই দিকে চীনও বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে সাধারণ রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা একটি কমন মিসটেক করে থাকেন। সেটি হলো, বাংলাদেশ যদি ভারতের ঘনিষ্ট হয় তাহলে চীন রেগে যাবে। আর যদি চীনের ঘনিষ্ট হয় তাহলে ভারত রেগে যাবে। এই ধারণাটি সঠিক নয়। বরং বাংলাদেশ চীনের ঘনিষ্ট হলে আমেরিকা রেগে যাবে। আর যদি আমেরিকার ঘনিষ্ট হয় তাহলে চীন রেগে যাবে। একথা ঠিক যে, চীন এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। চীন-ভারত উভয়ই বাংলাদেশকে পাশে চায়। বাংলাদেশকে নিয়ে ঠান্ডা লড়াই রয়েছে চীন ও আমেরিকার মধ্যে।

॥তিন॥
এই জিও-পলিটিক্সে ভারত এতদিন চতুর ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৮ সালের নৈশ ভোটের নির্বাচনকে চীন-ভারত উভয়ই সমর্থন করেছে। আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ^ করেনি। তারপর থেকে ৪ বছর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে ভারত প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। ভারতের এই নীরবতায় বাংলাদেশের অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন যে, বৃহৎ প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। আমি অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছি যে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ১৪ বছর আগে যেমন ছিল আজও তেমনই আছে।

এ সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু না বলার পলিসি থেকে এতদিন পর ভারত সরে এসেছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারত তার সুপরিকল্পিত নীরবতা ভঙ্গ করেছে। এমন এক সময় ভঙ্গ করেছে যখন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা বাংলাদেশে ছিলেন। আরো ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কাতরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎকালে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের ‘টোটাল সাপোর্ট’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পাশে ভারত থাকবে বলে বিনয় কাতরা দৃঢ়ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে আশ^াস দেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং সারাবিশ^ তাকিয়ে দেখছে যে, এই সম্পর্ক একটি স্ট্র্যাটেজিক লেভেল বা কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। তিনি এতদূরও বলেন যে, ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য করার সময় দুই দেশ নিজেদের মুদ্রায় অর্থাৎ রুপি এবং টাকায় লেনদেন করার বিষয়ে চিন্তা করতে পারে।

যে মুহূর্তে আগামী নির্বাচন নিয়ে সমস্ত বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যখন তারা এক বাক্যে বলছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন তারা করবে না এবং এই সরকারের পদত্যাগ চায় তারা, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের এই দ্ব্যর্থহীন সমর্থন সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য বহন করে। এই মুহূর্তে আওয়ামী সরকার ভালো অবস্থানে আছে। তার পেছনে সমর্থন রয়েছে ভারত, চীন এবং রাশিয়ার।

কিন্তু আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডেরেক শোলে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন যতই আত্মতৃপ্তি দেখান না কেন, কঠিন বাস্তব হলো এই যে, মার্কিন স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডেরেক শোলে পরিষ্কার কয়েকটি বার্তা দিয়ে গেছেন। সেগুলি হলো, গণতন্ত্র সংকুচিত হলে আমেরিকার সাথে সম্পর্কও সংকুচিত হবে। দ্বিতীয়ত, আমেরিকা এই মুহূর্তে মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তৃতীয়ত, তারা দেখতে চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। চতুর্থত, তারা সেই নির্বাচনকেই ভালো নির্বাচন বলবে যে নির্বাচনকে বড় কর্তারা নয়, জনগণ ভালো বলবে। আরেকটি বাক্য তিনি উচ্চারণ করেছেন, যেটির তাৎপর্য অনেকে হয়তো বুঝতে পারেননি। সেটি হলো, বাংলাদেশ সরকার কেমন নির্বাচন করবে সে ব্যাপারে আমেরিকা একটি রোডম্যাপ চায়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন।

বাংলাদেশকে ঘিরে বৈশি^ক মেরুকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। একদিকে রয়েছে চীন, ভারত ও রাশিয়া। অন্যদিকে রয়েছে আমেরিকা এবং তার নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি মার্কিনপন্থী ধনী দেশ। এই মেরুকরণের প্রভাব অবধারিতভাবে বাংলাদেশের আগামী রাজনীতি এবং নির্বাচনের ওপর পড়বে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বিশ^াস করে।

Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন