শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাণীশংকৈলে স্থলবন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি

রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:০৮ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নে পাকিস্তান আমলের ১৯৫৮-৬৫ সালে যে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরটি চালু ছিল সেটি আবার পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ধর্মগড়-দেবিগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে উপজেলার চেকপোস্ট, কাউন্সিল বাজারে এটি চালুর দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় ধর্মগড়-দেবিগঞ্জ স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন,ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফ, লক্ষীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোকসেদ মাস্টার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ সহ স্থানীয়রা।

বক্তব্যে ধর্মগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, 'পাকিস্তান আমলে আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল দীর্ঘ দিন। কিন্তু ৭১ এর পরে সেটি অনাবশ্যক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তাই এটিকে পুনরায় চালু কারার দাবিতে আমরা মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচিতে নেমেছি। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকাবাসী উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবার এটিকে চালু করার দাবি জানাচ্ছি। এটিও একটি সরকারের ৪১ সালের ভিশনের অংশ বলে আমি মনে করছি এবং স্থলবন্দরটিকে চালু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে।

ধর্মগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফ বলেন, 'যেহেতু আমাদের এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল সেহেতু এটি আমাদের শুধু দাবি নয় এটা আমাদের প্রাপ্য। এটি আমাদের এলাকার বাসীর প্রাণের দাবি। তাই সরকারকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এটিকে চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।,

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ১৯৫৮ সালে যখন এখানে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু ছিল তখন এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ছিল। বর্তমানে প্রতিবছর এখানে ৩৭৩ ও ৩৭৪ নং পিলারের কাছে দুই দেশের মানুষের মিলন মেলা বসে। এপার ওপার বাংলার লাখ লাখ মানুষ এই মেলা অংশ নেন।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১ এর ৩ ধারা ও কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর ৯ ধারার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আবার এই বন্দরটিকে চালু করে তাহলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ শির উঁচু করে দাঁড়াবে। এবং এটি চালু হলে দেশের এলাকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক উন্নয়ন হবে। তাই স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারকে স্থলবন্দরটি পুনরায় চালু করা অনুরোধ ও দাবি করছি।,

এছাড়াও স্থল বন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও লংমার্চ কর্মসূচি হিসেবে দুপুরে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনেও তারা মানববন্ধন করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরের স্মারকলিপি প্রদান করেন। তারা জানান, বন্দর চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, বন্দর চালুর বিষয়ে স্মারকলিপি পেয়েছি। আমি এটি চালুর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিকট প্রেরণ করবো। আশা করি এবিষয়ে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন