দুদক কর্মকর্তার চামড়া ছিঁড়ে ফেলার মতো বক্তব্য দেয়া সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি এমপি’র উচিৎ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট নেতা, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২ আসনের এমপি) সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী গত সোমবার দুদক কর্মকর্তার চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দেন। এর আগে তার দুই পুত্রসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এর পরপরই মাইজভান্ডারী শাহী ময়দানে সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারীর ১০৪তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তরিকত ফেডারেশন নেতা নজিবুল বশর এ হুমকি দেন। তার বক্তব্যের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান আদালতের নির্দেশনা চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ সময় হাইকোর্ট বলেন, আমরা সবাই কেমন যেন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি। সিভিল সোসাইটির একজন মানুষ, তার মন্তব্য সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর হওয়া উচিৎ ছিল।
এসময় খুরশিদ আলম খান বলেন, আপনারা তার কাছে ব্যাখ্যা চান। তখন হাইকোর্ট বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে, এটি নিয়ে দুদকই কাজ করুক।
গত সোমবার প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে নজিবুল বশরের দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার এ দুই ছেলে হলেন তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারি। মামলার বিষয়ে বক্তব্যের বিষয়ে মাইজভান্ডারি পরবর্তীতে বলেন, আমি যা বলেছি, সত্য বলেছি। একটাও মিথ্যা বলিনি। ৪০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ৬৫ কোটি টাকা ফেরত দিলে আত্মসাৎ কীভাবে হয় ? সেটা তারা মামলায় উল্লেখই করেননি। এছাড়া ট্যাক্স ফাইলেও ওই টাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাহলে কীভাবে টাকা পাচার হয়? সৈয়দ নজিবুল বশর আরও বলেন, আমি দুদকের বিরুদ্ধে রিট করব। পাশাপাশি তাদের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলব। কারণ, হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। দুদক কী করছে। দুদক আমাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস কোথায় পেল? নিশ্চয়ই এর পেছনে কারও ইন্ধন থাকতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন