মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ধানের বাজার মূল্যে বাউফলের কৃষকের মুখে হাসির ছোঁয়া

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের মোকাম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বাজারে ধানের দাম এ সপ্তাহে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি ঝিলিক। বিগত বছরের দেনা পরিশোধ করে কৃষকরা এ বছর লাভের মুখ দেখবেন বলে জানিয়েছন। চলতি বছর প্রথমদিকে ধানের বাজার মন্দা যাওয়ায় উৎপাদিত ধান নিয়ে কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে প্রতি মণে প্রায় ২০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা লোকসানের পরিবর্তে বরং লাভের মুখই দেখবেন বলে স্থানীয়রা জানান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাউফলে ৩৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বিরামহীন ভারী বর্ষণে সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমির ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও বাউফলে আমনের বাম্পার ফলনই হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনে বর্গাচাষি ও প্রান্তিক চাষিরা ঘূণিঝড় ও ভারী বর্ষণের ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছেন। মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম নি¤œমুখী হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গেল সপ্তাহ থেকে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিদের সে হতাশা কেটে গেছে। সোমবার কালাইয়া বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি মণ (৪৮ কেজি) মোটা ধান ৮৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেল দু’সপ্তাহ আগে ৬২০ থেকে ৬৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। চাষিরা জানিয়েছেন, বীজ, সার ও শ্রমিক খরচ দিয়ে প্রতি মণ ধান উৎপাদনে প্রায় ৫৯০ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার স্থিতিশীল থাকলে বিগ দেনা পরিশোধ করে কিছু লাভ নিয়ে ঘরে ওঠা যাবে। কালাইয়া বাজারে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান ক্রয় করতে আসা মহাজনরা জানান, মৌসুমের শুরুতে বাজারে ওঠা ধান পুরোপুরি পাকে না এবং ওই সময় ধান অধিকতর কম শুকানো হয়। ফলে দাম কম থাকে। এখন ধান পুরোপুরি পেকে গেছে। যার কারণে দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কালাইয়া বাজারের আড়তদার জয়নাল মিয়া জানান, পাশর্^বর্তী উলানিয়া ও গলাচিপা মোকাম থেকে কালাইয়া বাজারে ধানের দাম সব সময়ই বেশি থাকে। মৌসুমের শুরুতে চাষিরা কাঁচা-পাকা মিলিয়ে ধান কাটে। একারণে মৌসুমের দু’এক সপ্তাহ ধানের বাজারদর কম থাকে। কালাইয়া বাজারে আমদানি করা ধান মানসম্মত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মহাজনরা দান ক্রয়ে আগ্রহী থাকেন।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বর্ষণের কারণে যে ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। ধানের বর্তমান মূল্য স্থিতিশীল থাকলে কৃষকরা ধান উৎপাদনে আগ্রহী হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান বলেন, সরকার বরিশাল বিভাগ থেকে ধান ক্রয় করছেন না। যদি ক্রয় করা হতো তবে কৃষকরা আরো উপকৃত হতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন