সকলকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে সার্বিক জীবন গড়ে তোলা। সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন কায়েমের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে ইসলামী অনুশাসনের কোন বিকল্প নেই। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে দেশের শাসন ও বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়ে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত দুইদিন ব্যাপি ৩৩তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা শেষ হয়েছে। ইজতেমায় দেশের বিভিন্নস্থান হতে হাজার হাজার মুসল্লি অংশগ্রহন করে। ব্যাপক আলোচনা শেষে ইজতেমায় বেশকিছু দাবি সমূহ গ্রহন করা হয়। যারমধ্যে রয়েছে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে দেশের শাসন ও বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। এ সম্মেলন তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিক¤েপ নিহত সকল মুসলমানের মাগফেরাত কামনা করছে এবং শোকাবহ পরিবারবর্গের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করছে। সাথে সাথে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য দেশের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। এ সম্মেলন দেশে ক্রমবর্ধমান ঘুষ-দুর্নীতি ও জুয়া-হাউজী বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছে। পুঁজিবাদী সূদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা বাতিল করে ন্যায় ও ইনছাফভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতি চালু করতে হবে। দেশের বিভিন্ন শহরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী আক্বীদা ও সংস্কৃতি বিরোধী মূর্তি-ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার সর্বস্তরে বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের চলমান সিলেবাস থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী বিবর্তনবাদ সহ সকল প্রকার ইসলাম বিরোধী বিষয়সমূহ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সাথে সাথে লেখক প্যানেল থেকে ইসলাম বিদ্বেষী ও হিন্দুত্ববাদী লেখকদের অপসারণ করতে হবে। যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে জঙ্গীবাদের মূলোৎপাটন এবং সামাজিক অনাচার সমূহ প্রতিরোধের জন্য মদ-জুয়ার অবাধ সয়লাব এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে অশ্ল¬ীলতা ও বেহায়াপনার ছড়াছড়ি বিশেষ করে ভারতীয় সিরিয়াল স¤পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উলে¬খ্য যে, গত ২৩ শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৫ শে ফেব্রুয়ারী শনিবার বাদ ফজর শেষ হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন