ঝালকাঠিতে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন এবং সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনসহ ৩৮ জনের মানে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। শনিবার রাতে ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ মোদক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। শনিবার সকালে বিএনপির পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে ঝালকাঠি থানার পরিদর্শক ফিরোজ কামালসহ পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়। এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেছে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনায় পুলিশ জেলা যুবদলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমানসহ ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
ঝালকাঠি থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপিকে অফিসের সামনে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা পদযাত্রা নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে প্রবেশ করে। এতে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। পুলিশ তাদের সড়িয়ে দিতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাঁরা সরকারি কাজে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিল, এতে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে। আমাদের কোন নেতাকর্মী পুলিশের গায়ে হাত দেয়নি। যুবলীগ-ছাত্রলীগ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে, তা পুলিশের গায়ে লেগেছে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের শরীরে লেগেছে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা একটি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন