কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম মাটি কাটতে না পেরে জুতা পেটা করেছে জমির মালিককে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী জগন্নাথপুর মৌজার জমি থেকে জোড় পূর্বক মাটি কাটার সময় বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আবুল কালামের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী খোকসার গোপগ্রাম ইউনিয়ন এর শ্যামগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুর ছুবাহানের ছেলে ছাইফুল ইসলাম (৬২)।
ছাইফুল ইসলাম জানান, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম ২০০৫ সাল থেকে তার উপর বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার করে আসছে। বিষয়গুলো নিয়ে এলাকায় ও থানায় কয়েকবার শালিসী বৈঠক হয়েছে। এবং আপোষ মিমাংসার লিখিত ডকুমেন্টস রয়েছে তার কাছে। পেশী শক্তির দাপট দেখিয়ে কালাম তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেও ক্ষান্ত হয়নি তার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি জানান গত ২২ ফেব্রুয়ারী বিকেলে কালামের লোকজন তার জমির সীমানা থেকে মাটি কাটার সময় বাধা দিয়ে গোপগ্রাম সুইচগেটে রবিউলের চায়ের দোকানে এসে বসেন। তার কিছু সময়ের মধ্যে কালাম এসে প্রকাশ্যে পায়ের জুতা খুলে তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারতে থাকে এবং এলাকা ছাড়া করার হুমকী দেয়। পরবর্তীতে তিনি খোকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর থেকে কালাম তাকে দেখলেই মারার জন্য তাড়া করছে বলে জানান তিনি। প্রচন্ড নিরাপত্তায় ভুগছেন তিনি। সুবিচার পাবার আশায় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, ছাইফুলের জমির পাশ থেকে সামান্য মাটি কেটেছেন এবং জুতা পেটা করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন তিনি ছাইফুলের মুখে শুধু একটা চড় মেরেছেন।
এ বিষয়ে খোকসা থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন