রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কেজি দরে বিক্রি হবে ১২ উড়োজাহাজ!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে অন্তত ১২টি উড়োজাহাজ। প্রায় এক দশকের বেশি সময় পড়ে থাকা এসব উড়োজাহাজের ফ্লাইট অপারেশন এখন পুরোপুরি বন্ধ। পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে কয়েক দফা চিঠি পাঠিয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। কোনো সাড়া না পেয়ে বছরখানেক আগে নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখন কয়েকজন মালিক বকেয়া পরিশোধে ছয় মাসের সময় চান। ছয় মাস পরে তাদের আর কোনো সাড়া মেলেনি। ফলে দীর্ঘদিন বিমানবন্দরের রফতানি কার্গো-ভিলেজের বিশাল জায়গাজুড়ে উড়োজাহাজগুলো পড়ে আছে।

এর মধ্যে আটটি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইনসের একটি ও এভিয়েনা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, এসব উড়োজাহাজের পার্কিং এবং সারচার্জ বাবদ বেবিচকের কাছে পাওনা প্রায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বকেয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে। প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেবিচকের। ২০১২ সালে জিএমজি এয়ারলাইনস তাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছ থেকে বকেয়ার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় রিজেন্ট। তার আগেই বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল সংস্থাটি। এর বাইরে পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা। পাশাপাশি পরিত্যক্ত প্লেনগুলোর দখল করে নেওয়া জায়গায় কমপক্ষে ৭টি উড়োজাহাজ পার্কিং করা যাবে, যা থেকে প্রাপ্য অর্থ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বেবিচক। আর তাই উড়োজাহাজগুলো এবার নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক। নিলাম করতে পারলে পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ বকেয়া টাকা যেমন উসুল হবে, তেমনি পার্কিংয়ের জন্য জায়গাও ফাঁকা হবে। তবে নিলামে প্রত্যাশিত দাম না পেলে প্রয়োজনে উড়োজাহাজগুলো কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানগুলোর রেজিস্ট্রেশন আগেই বাতিল করেছে বেবিচক। এরপর বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে দফায় দফায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বছরখানেক আগে বকেয়া আদায়ে উড়োজাহাজগুলো নিলামে বিক্রির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তখন কয়েকজন মালিক বকেয়া পরিশোধে ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন। সেই সময় পার হলেও তাদের দেখা নেই। এজন্য ফের নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগির এ নিলামের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে নিতে আমরা অনেক বার চিঠি দিয়েছি। তবে উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো জবাব দেয়নি। তাদের কাছে পাওনা অর্থও পরিশোধ করেনি। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা কোনো উদ্যোগ নেননি। এখন সিভিল এভিয়েশন আইন অনুযায়ী- পরিত্যক্ত উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্ত করে দ্রুত নিলাম আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যেই নিলামের প্রক্রিয়া নির্ধারণে কর্মপদ্ধতি ও সুপারিশমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আইনি মতামত নিয়ে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Ali Azgor ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৬ এএম says : 0
পায়ের সাইড থেকে আমাকে ৫ কেজি প্লেন দিয়েন, কয়েকটি ভালো মানের দা- ভটি, কুড়াল-খন্তি, কাচি বানাতে হবে।
Total Reply(0)
Abdul Hannan Abdul Hannan ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৬ এএম says : 0
আমি 4/5 কেজি কিনতে চায়। বিমানের মালিক হওয়ার এখনই সময়।
Total Reply(0)
Nazrul Islam ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৭ এএম says : 0
আমার টাকা থাকলে নিতাম দেন রেস্টুরেন্টের জন্য ইউজ করতাম ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৭ এএম says : 0
দেশ উন্নত করতে হলে সকল সরকারি জিনিসপত্র যত্ন সহকারে ব্যাবহার এবং পুরাতন সকল গাড়ি বিক্রি করে সরকারের আয় বাড়ানো উচিৎ
Total Reply(0)
H.M. Abu Bakar Siddik ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৮ এএম says : 0
অথচ এতোগুলো ডলার বাচানো যেতো। সাধারণ জনগণের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের টাকায় কেনা এসব উড়োজাহাজ অযথা বসিয়ে রেখে নষ্ট করে রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হলো
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন