সোমবার কিয়েভে আকস্মিক সফরে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। এ সময় তিনি ইউক্রেনে অর্থনৈতিক ও বাজেট সহায়তার জন্য ১২৫ বিলিয়ন ডলার পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
ইয়েলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, যুদ্ধে জয়ী হতে ইউক্রেনের যতদিন লাগবে ততদিন ওয়াশিংটন কিয়েভের পাশে থাকবে। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, রাশিয়ার অর্থনীতি পশ্চিমা মিত্র শক্তিগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার নিচে এখনো চাপা পড়েনি। তবে তার আশা, সময়ের সাথে সাথে এটি ‘দুর্বল’ হয়ে পড়বে।
ইয়েলেন বলেছেন যে, ইউক্রেনের আক্রমণে ধ্বংস হওয়া রুশ সামরিক সরঞ্জামগুলো সংগ্রহ করতে রাশিয়ার সক্ষমতা ‘ধীরে ধীরে বিপন্ন'’হচ্ছে। এ ধরণের অস্ত্র চীন রাশিয়াকে সরবরাহ করতে চাইলে তার পরিণতি আরো ‘মারাত্মক’ হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধ চালানোর জন্য রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম পাওয়ার সক্ষমতাকে সীমিত করা উদ্দেশ্যে আমরা যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছি, তা যদি কোন দেশ তোয়াক্কা না করে তাহলে সেই পদ্ধতিগত বরখেলাপ আমরা কোনভাবেই সহ্য করবো না।’
‘এবং আমরা চীন সরকারের সাথে খুব স্পষ্ট ছিলাম এবং চীনা সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের পরিণতি গুরুতর হবে,’ বলেন তিনি। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের কথা বিবেচনা করছে। যদিও বেইজিং জোড়ালোভাবে এ দাবি অস্বীকার করেছে।
গত সপ্তাহে মস্কোতে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠককে অনেকেই রাশিয়ার সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন