বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটে বাঁকখালী নদীর প্যারাবন কেটে গড়ে উঠা অবৈধ পল্লী উচ্ছদে যৌথ অভিযান -তিন শত স্থাপনা উচ্ছেদ, ৫ শত একর জমি উদ্ধার

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫৭ পিএম

দীর্ঘদিন পরে হলেও কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাটে বাঁকখালী নদী দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ পল্লী উচ্ছদে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই যৌথ অভিযানে র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের কয়েকশত সদস্য অংশ গ্রহণ করে। অভিযানে তিন শতাধিক কাঁচা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে পাঁচ শত একর ভূমি উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় বাঁকখালী দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছদ অভিযান সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধা পর্যন্ত চলে। এঅভিযানে র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট কাজ করে।

এদিকে সোমবার বিকেলে এই উচ্ছেদ অভিযানের কথা মাইকে প্রচার করে প্রশাসন। এতে উত্তেজনা দেখা দেয় দখলদারদের মধ্যে। দখলদার মালিকরা সোমবার রাতেই জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে উচ্ছেদ বন্ধ রেখে তাদেরকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে সুযোগ দেয়ার দাবী জানান।

উল্ল্যেখ্য, শহরের কস্তুরাঘাট পয়েন্টে সবুজ প্যারাবন উচ্ছেদ করে একটি দখলদার সিন্ডিকেট বিস্তীর্ণ এলাকায় গড়ে তোলে অবৈধ পল্লী। রাতারাতি গড়ে তোলা পাকা আধাপাকা এই অবৈধ পল্লী নিয়ে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যমগুলো ক্রমান্বয়ে লেখালেখি করে আসছিল। এতে করে দেরীতে হলেও প্রশাসনের টনক নড়ে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৩০ টি অবৈধ দখলদার বাঁকখালী নদীর বিশাল এলাকা দখল করে রাখে। আর এই জমিতে গড়ে তোলে কাঁচা-পাকা ও বহুতল তিন শতাধিক স্থাপনা।

এমনকি বিআইডব্লিউটিএ নৌ টার্মিনাল নির্মাণের জমিও এই দখলদারদের অধিনে চলে যাওয়া নৌটার্মিনাল হতে পারেনি।

সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী চক্র ভরাট বাঁকখালীতে সৃজিত বিস্তীর্ণ সবুজ প্যারাবন উজাড় করে সেখান গড়ে তোলে কয়েক শত পাকা স্থাপনা।

এনিয়ে বেলা সহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। পাশাপাশি জাতীয় এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো ক্রমাগত সংবাদ পরিবেশন করে আসছিল। এতে করে দেরিতে হলেও প্রশাসনের টনক নড়ে। মঙ্গলবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এই উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানায় কক্সবাজারের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৩০ জন দখলদারদের মাঝে অনেক বড় বড় সরকারী দলের অনেক বড় বড় নেতাদের নামও রয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জনা গেছে, অবশিষ্ট অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধেও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকারী ভূমি উদ্ধার করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন