মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বিদ্যুৎ মূল্য বৃদ্ধি একটা তামাশায় পরিণত হয়েছে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৬:১৬ পিএম

আবারো বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুতের দাম আবার বৃদ্ধির ঘোষণায় জনগণ দিশেহারা। মাহে রমজানের আগ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া কিছু না। অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঃ
আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণার সাথে সাথে এর খারাপ প্রভাব শুরু করেছে। সারাদেশের সাধারণ জনগণ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এই গণবিরোধী ও অযৌক্তিক সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল চায় জনগণ।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব বলেন, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ তখন আববারো নতুন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণ এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বর্তমান সরকার জনগণের চরম দুর্ভোগ লাঘব না করে একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে বিপাকে ফেলেছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান তিনি। মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করবে। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পেছনে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ব্যয় ও সিস্টেম লসের নামে বছরে ২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করলে বিদ্যুতের দাম অনেক কমানো সম্ভব হবে। কিন্তু সরকার সেদিকে না গিয়ে তাদের লুটপাটের দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া এই অবৈধ সরকার আইএমএফের ঋণের শর্তের বেড়াজালে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা না করে ১ মাসের ব্যবধানে আবারও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। জনগণকে বাঁচতে দিন, নতুবা জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে আপনাদের আখের রক্ষা হবে না।
খেলাফত মজলিস ঃ ভোক্তা পর্যায়ে নতুনকরে বিদ্যুতের দাম ৫ ভাগ বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। নতুনকরে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বিগত দুই মাসে ৩ দফায় বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস. তেলের দাম বৃদ্ধি জনগণের জীবনযাত্রায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দ্রব্যমূল্যে উচ্চমূল্যে ইতোমধ্যেই জনগণের নাভিশ্বস উঠেছে। এর মধ্যে নতুন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি গণদুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি করবে। সাধারণ মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আর জনদুর্ভোগ না বাড়িয়ে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঃ গ্রাহক পর্যায়ে এক মাসের ব্যবধানে তৃতীয় বারের মতো আবারও বিদ্যুতের পাঁচ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, একমাসের মধ্যে তিন বার বছরে পনের বার বিদ্যুৎ এর দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে জনগণের সাথে সরকার তামাশা করছে। বিদ্যুৎ এর এই লেজেগোবরে অবস্থার জন্য সরকারের মদদপুষ্ট লোকদের দুর্নীতি লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারকে দায়ী করে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার এখন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর পাঁয়তারা করছে। এভাবে শেষ রক্ষা হবে না। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য কমিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
ইসলামী ঐক্য জোট ঃ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকীব এক বিবৃতিতে বলেন, মাহে রমজানের আগ মুহূর্তে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের সাথে তামাশা শুরু করেছে সরকার। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। এর উপর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে রমজানের রোজাদারদের কষ্ট বহুগুন বাড়বে। তিনি জনস্বার্থে অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন