সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইফুল আলম (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পথচারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গত বুধবার রাতে শহরের সুরমা সেতুর নতুন সংযোগ সড়ক এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতেই অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ ১৯ ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদেরকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান গ্রামের দুই যুবতি ও এক যুবক বেড়াতে আসে ছাতক সুরমা সেতুতে। বেড়াতে এসে তারা টিকটক ভিডিও করে। সন্ধ্যা পর বাড়িতে ফিরতে ছাতক-সিলেট সড়কের পাশে বঙ্গবন্ধু পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় দাড়িয়ে তারা গাড়ির অপেক্ষা করছিল। এসময় পৌরসভার বাঁশখলা এলাকার কয়েকজন যুবক ওই মেয়েদের উদ্দেশ্য করে অশোভন আচরণ করলে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন যুবক। বিষয়টি নিয়ে বাঁশখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের যুবকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিরগাঁও গ্রামের মামুন মিয়া (২৫)কে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের যুবকরা। পরে বাঁশখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষনা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামবাসী। সংঘর্ষে স্থানীয় মুরব্বী ও জনপ্রতিনিধিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ট করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মুক্তিরগাঁও গ্রামের সাইফুলসহ ৬ ব্যক্তিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই সাইফুলকে মৃত ঘোষনা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাঁন মুহাম্মদ মইনুল জাকির বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক ১৯ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন