শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দক্ষিণ চীন সাগরে প্রভাব ঠেকাতে চাপের কৌশল নিয়েছে বেইজিং

মানচিত্রে আন্দামান-নিকোবরের মালিকানা চীনের ভারতের পাল্টা অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতীয় মালিকানাধীন আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে চীন। সম্প্রতি চীনের একটি মানচিত্রে ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপাঞ্চলকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে আইবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ, হিন্দুত্ব ব্লগ’র খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে ভারত ক্রমশ প্রভাব বাড়াচ্ছে বলেই চীন এই পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। গোয়েন্দারা বলছেন, ভারত মহাসাগর ছেড়ে এবার বঙ্গোপসাগরের দিকেও হাত বাড়াতে চায় চীন। ভারত মহাসাগরে নয়াদিল্লির প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় বেইজিং পাল্টা চাপ তৈরি করার এই নতুন কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক শীর্ষকর্তা এবং ভারত সরকারের সচিবালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব জয়দেব রানাড়ে জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আন্দামান ও নিকোবরকে নিজেদের ম্যাপে দেখাতে শুরু করেছে চীন। রানাড়ে এখন ভারতের সেন্টার ফর চায়না অ্যানালাইসিস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির প্রধান। তাকে উদ্ধৃত করেই একাধিক সংবাদ সংস্থা বঙ্গোপসাগরে চীনা দাবির কথা জানিয়েছে। ভারত মহাসাগরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে চীন-ভারত টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। গত দেড় দশকে ভারতীয় নৌসেনার ব্যাপক শক্তি বৃদ্ধি করে গোটা ভারত মহাসাগরে বেইজিংকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে শুরু করেছে নয়াদিল্লি। তার সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনা ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ চীন সাগরেও। গোটা দক্ষিণ চীন সাগরকেই নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে তার বিভিন্ন অংশে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের মতো ভারতও চীনের এই নীতির বিরুদ্ধে সরব। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও ব্রুনেইয়ের সঙ্গে চুক্তি করে দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতীয় নৌসেনার স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করে ফেলেছে নয়াদিল্লি। তাই বেইজিং এবার ভারত মহাসাগরের বৃহত্তর জলসীমা ছেড়ে ভারতের একান্ত নিজস্ব বঙ্গোপসাগর দখলের নীরব হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছে। চীন এবার আন্দামান-নিকোবর নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে। অরুণাচল আর লাদাখের কর্তৃত্ব ভারতের হাতে থাকলেও চীন এখনও ওই দুই অঞ্চলকে ভারতীয় এলাকা বলে স্বীকৃতি দেয় না। সূত্র : এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন