ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের অভাব ছিল। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার মধ্যে কয়েকজনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাবের ডিজি এম খুরশীদ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ায় আমাদের ব্যর্থতা ছিল। পুলিশের সঙ্গে সবার একটা সমন্বয় থাকার কথা ছিল। কিন্তু সমন্বয়ের অভাব ঘটেছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সামনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমরা চাইব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে। আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য র্যাব অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তারা এখন র্যাবের প্রশংসা করছেন। দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমাদের অনেকে জীবন দিয়েছেন। র্যাব শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে না, মানবিক বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করে। আমরা চেষ্টা করছি জঙ্গি-মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘরছাড়া তালিকাভুক্ত ৫৫ তরুণের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন শনাক্ত হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির আমির দাওয়াতি শাখার প্রধান ও অর্থ সংগ্রহ বিষয়ক উগ্রবাদী বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও কন্টেন্ট উদ্ধার হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এদের মধ্যে গ্রেফতার আল আমিন ওরফে মিলদুকের কাছ থেকে নতুন ওই ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়।
ভিডিওর তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ৬ জুন ডা. জহিরুল মারা গেছেন। দুই নম্বর ভিডিওতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে থাকা মোট ৩৩ জনকে শনাক্ত করা গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মূলত অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য সংগ্রহের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে। অপরদিকে দেশে বড় কোনো নাশকতার পর নিজেদের অস্তিত্ব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে জানান দেওয়াও এই ভিডিওর উদ্দেশ্য হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারা নিজেদের গ্রুপের মধ্যেই এগুলো সরবরাহ করেছে। এখন পর্যন্ত নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৫৯ জন জঙ্গি ও তাদের প্রশিক্ষণের সহায়তার অভিযোগে ১৭ জন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের ২ জনকে ডির্যাডিকালাইজড করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন