শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে কাজ করাই প্রকৃত সুখ : আইসিটি বিভাগের অব.সিনিয়র সচিব

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২৩, ৭:৫৫ পিএম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব (অব.) এন এম জিয়াউল আলম বলেছেন, কুমিল্লার ছায়াবিতান সোসাইটি সরকারের বিভিন্ন দফতরের চাকরজীবীদের বসবাসের একটি অন্যতম আবাসনস্থল। এটিকে এখন সারাদেশের হাউজিং সোসাইটির রোলমডেল বলা চলে। ইটপাথরের ইমারতের চারিদিকে গাছ গাছালির সবুজায়নে ভরা সুপরিকল্পিত অবকাঠামোর এই সোসাইটির কোলাহলমুক্ত বসবাসযোগ্য সামাজিক পরিবেশে সংঘবদ্ধভাবে ৫০ বছরেরও বেশি সময় বসবাস করে আসছেন সরকারি চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ।সমাজের আনাচে কানাচে যখন নানা অসঙ্গতি, নানা অনিয়ম, দলাদলি দেখা যায়- সেইদিক থেকে ছায়াবিতান হাউজিং সোসাইটির প্রতিটি পরিবার ও তাদের সন্তানরা ব্যতিক্রম। সোসাইটিতে বসবাসকারিদের সন্তানরা সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবক হওয়ার চিন্তাচেতনা থেকে বড় হচ্ছে। এই সোসাইটিতে বসবাসকারি অভিভাবকরা যেমনি রাষ্ট্রের জন্য চাকরিজীবনে নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন তেমনি তাদের সন্তানরাও সোসাইটির আলোবাতাসে বড় হয়ে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন। এখানকার বসবাসকারি পরিবারগুলো সামাজিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে সুস্থ। তারা তাদের কর্মে মানুষকে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখায়। আর ছায়াবিতান সোসাইটির কর্মজীবী মানুষের এই স্বপ্নটা হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার। এই সোসাইটিতে বসবাসকারি আমরা যারা সরকারি চাকরিজীবী রয়েছি আমাদেরও এই সমাজের প্রতি অনেক দায়িত্ব রয়েছে। মানুষের জন্য ও দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমরা একসঙ্গে একটি সোসাইটিতে বসবাস করি বলে কেবল আমাদের কথাই ভাববো না, আমরা সমাজের হতদরিদ্র, বিপদগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে কাজ করবো। আর এটাতেই মিলবে প্রকৃত সুখ।

শনিবার সকালে কুমিল্লা শহরতলীর দৌলতপুরে ছায়াবিতান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভার মতবিনিময় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া ও মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন আহমেদ বাবু।

সভাপতির বক্তব্যে ছায়াবিতান সোসাইটির সভাপতি ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এতিহ্যবাহী এই সোসাইটিতে সরকারের সকল দপ্তরের চাকরিজীবিরা বসবাস করছেন। সুপরিকল্পিত এই সোসাইটিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবরস্থান ও মসজিদ রয়েছে। বর্তমানে সোসাইটির সদস্য সংখ্যা ১২৯ জন। যারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বর্তমানে কর্মরত, সাবেক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এখানে বসবাস করছেন। এ হাউজিং সোসাইটির উন্নয়নে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা পরিষদ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন ভূমিকা রাখছেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আলহাজ¦ মো. আবু মুসা চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবদুস ছালাম মিয়া, চাঁদপুর জেলার উপসহকারী নিবন্ধক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক এএম মামুনুর রশীদ অপু, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. জহিরুল হাসান ভূইয়া রিপন, মো গিয়াস উদ্দিন, মনিরুজ্জামান মজুমদার, মো. সফিকুর রহমান, মো. আনোয়ারুল কবির ভূঁঞা, বেগম সাবিনা আফরোজ সুমীসহ সোসাইটির শতাধিক সদস্য।

উল্লেখ্য ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ছায়াবিতান কো-অপারেটিভ সোসাইটি সরকারি চাকুরিজীবীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যেগে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে শহরতলীর দৌলতপুর মৌজায় ৯ দশমিক ৮৭ একর জমি বরাদ্ধ পেয়ে সোসাইটির আবাসিক কার্যক্রম চালু হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন